আবারও মুখ পুড়ল দিল্লি পুবলিশের। দিল্লি হিংসায় অভিযুক্তি তিন ছাত্র ও পিঞ্জড়াতোড় সংগঠনের সদস্য দেবাঙ্গনা কালিতা, নাতাশা নারওয়াল ও অসিফ ইকবাল তানহা জামিন আটকাতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল দিল্লি পুলিশ। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রেখেছে। পাশাপাশি জানিয়ে দিয়েছে আপাতত তিন পড়ুয়া সমাজকর্মী এখন জেলের বাইরেই থাকবে। ২০২০ সালে দিল্লি হিংসার ঘটনায় তিন জনের হাত রয়েছে -এই অভিযোগে গত বছরই মে মাাসে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দিন কয়েক আগেই দিল্লি হাইকোর্ট দেবাঙ্গনা, নাতাশ আর আসিফকে জামিনে মুক্তি দেয়। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও তিহার জেল থেকে তাঁদের ছাড়তে টালবাহানা করে দিল্লি পুলিশ। তারপর দিল্লির করকোরদাম আদালতের দ্বারস্থ হয়ে জেলবন্দি তিন পড়ুয়া। দিল্লির আদালতের নির্দেশের পরেই বৃহস্পতিবার তিনজন মুক্তি পায়।
দিল্লিতে রাজ্যপাল-স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সাক্ষাৎ, রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা শুরু ...
এদিন সুপ্রিম কোর্ট তিন পডুয়া সমাজ কর্মীর জামিন বহাল রাখার পাশাপাশি দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের আইনি দিকগুলি খতিয়ে দেখতে সম্মত হয়েছে। পাশাপাশি উইএপিএ(UAPA) নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে সন্ত্রাসবিরোধী আইন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষেয় এবং এটি নিয়ে গোটা দেশের মধ্যে বিভ্রান্তি থাকতে পারে। দিল্লি পুলিশের আপিলের শুনানির সময় শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, দিল্লি হাইকোর্টের রায় কোনও আদালতের নজির হিসেবে বিবেচিত হবে না। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও ভিভি রামসুব্রাহ্মনিয়ানের অবকাশকালীন বেঞ্চেই এই মামলা ওঠে।
জামিনের তিন দিন পরেও তিহারজেলে বন্দি, দ্বিতীয়বার দেবাঙ্গনা,আসিফ, নাতাশাদের মুক্তির নির্দেশ ..
এদিন দিল্লি পুলিশের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন সলিসিটার জেনারেল তুষার হেমতা। তিনি বলেন পুরো সন্ত্রাস বিরোধী আইন ,UAPA তিন ছাত্র-ছাত্রীকে জামিন দেওয়ার বিষয়ে উল্টে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। সলিসিটার জেনারেলের জমা দেওয়া বিষয়টি পর্যেবক্ষণ করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে জামিন দেওয়ার সময় ১০০ পাতার একটি বিবৃতি জমা দেওয়া হয়েছে। যেখানে পুরো আইন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তারপরি সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় এখনও দেবাঙ্গনা, নাতাশা আর আসিফ ইকবলদের জামিনে মুক্তির নির্দেশে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না।
করোনার তৃতীয় তরঙ্গে কতটা নিরাপদ শিশুরা, জানাল AIIMS ও WHOএর গবেষকরা ...
গতকালই তিহার জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন, আসিফ ইকবাল তানহা, নাতাশা নারওয়াল, দেবাঙ্গনা কালিতা। দীর্ঘ এক বছর পর জেলেরে বাইরে বেরিয়ে তিনজনই দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা রেখেছেন। পাশাপাসি তাঁরা জানিয়েছেন আন্দোলন আন্দোলনের পথেই চলবে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদেই তাঁরা পথে নেমেছিলেন। আগামি দিনেও এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তিন পড়ুয়া সমাজকর্মী।