সমুদ্রপৃষ্ঠের প্রায় ৫ কিলোমিটার নীচে এই কম্পনের গভীরতা ছিল বলে জানিয়েছেন ন্যাশানাল সেন্টার ফর সিসমোলজি।
২০২২-এ লক্ষণীয়ভাবে একের পর এক ভূকম্পন পেল ভারত। বিশেষ করে উত্তর ভারতে পর পর ভূমিকম্প হওয়ার জেরে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। এই ভূমিকম্পের কবল থেকে বাদ যায়নি দেশের রাজধানী দিল্লিও। চলতি ডিসেম্বর মাসেই বঙ্গোপসাগরে ভূমিকম্প হয়, যার উৎসস্থল ছিল পুরীর পূর্ব থেকে ভূবনেশ্বেরের পূর্ব-দক্ষিণ -পূর্ব থেকে যথাক্রমে ৪২১ কিলোমিটার ও ৪৩৪ কিলোমিটার দূরে। পুরীর কাছে বঙ্গোপসাগরের ভূমিকম্পের জেরে ৫ ডিসেম্বর কেঁপে উঠেছিল বাংলাদেশ। এবার বছরের শেষে এসেও ভূকম্পনের থেকে রেহাই নেই ভারতবাসীর। ২৮ ডিসেম্বর বুধবার সকালে আরও একবার ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে উঠল উত্তর ভারত। এবার কম্পন অনুভূত হল উত্তরাখণ্ডে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির দেওয়া তথ্য অনুসারে জানা গেছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে, অর্থাৎ তারিখ হিসেবে ২৮ ডিসেম্বর, বুধবার রাত প্রায় আড়াইটে নাগাদ ভূমিকম্প হয় উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী এলাকায়। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের পাঠ পাওয়া গিয়েছে ৩.১ ম্যাগনিচিউড।
তথ্য অনুসারে, রাত প্রায় ২টো বেজে ১৯ মিনিট নাগাদ এই ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। এর অক্ষাংশ ছিল ৩০.৮৭ এবং দ্রাঘিমাংশ ছিল ৭৮.১৯। সমুদ্রপৃষ্ঠের প্রায় ৫ কিলোমিটার নীচে এই কম্পনের গভীরতা ছিল বলে জানিয়েছেন ন্যাশানাল সেন্টার ফর সিসমোলজি। যদিও কম্পনের মাত্রা তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের প্রভাব খুব বেশি পড়েনি। কম্পনের দ্বারা কোনও আঞ্চলিক ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও পর্যন্ত নেই বলে জানা গেছে। তবে, মধ্যরাতের এই কম্পনের কোনও দ্বিতীয় তরঙ্গ (আফটার শক) বুধবার সকাল পর্যন্ত আসেনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাত্র ৯ দিন আগে, অর্থাৎ ১৯ ডিসেম্বরেই প্রায় একই মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প হয়েছিল উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী এলাকায়। সেবার উত্তরকাশী থেকে প্রায় ২৪ কিমি দূরে ছিল এর কেন্দ্রস্থল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা পাওয়া গিয়েছিল ৩.১। সেই কম্পনটিও হয়েছিল মধ্যরাতে, প্রায় ১টা বেজে ৫০ মিনিট নাগাদ। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার গভীরে।
আরও পড়ুন-
করোনার পরবর্তী ঢেউ আসার আগেই দেওয়া হোক চতুর্থ ভ্যাকসিন, বুস্টার ডোজের ওপর জোর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের
ভারতের রেশন নীতিতে বদল, সমস্ত রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সশরীরে পর্যবেক্ষণের নির্দেশ কেন্দ্রের
৫৩ বছরের রেকর্ড ভেঙে এবছর উষ্ণতম ডিসেম্বর পেল বাংলা, আবার আসছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা