মে মাসেই বেড়েছিল চিনা অগ্রাসন
পূর্ব লাদাখের বিশ কয়েকটি এলাকায় চিনা সেনার অনুপ্রবেশ হয়
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েব সাইটেই ছিল সেই তথ্য
দুদিন পরই গায়েব হল সেই তথ্য
মে মাসের প্রথম দিক থেকেই পূর্ব লাদাখের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছিল চিনা সেনা। মঙ্গলবার থেকেই এজাতীয় একটি নথি দেখা গিয়েছিল ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েব সাইটে। কিন্তু ঠিক দুদিন পর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েব সাইটে আর দেখা যাচ্ছে না সেই গুরুত্বপূর্ণ নথিটি। নথিটি নাকি উধাও হয়ে গেছে।
ওই নথিতে বলা হয়েছিল ৫ মে ২০২০ থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার পেরিয়ে বিশেষত গালওয়ান এলাকায় ভারতের দিকে দেখা গেছে চিনা আগ্রাসন। ১৭-১৮ মে চিনের দিক থেকে কুংরং নালা, গোগরা ও প্যাংগং তসো হ্রদের উত্তর প্রান্তে সীমান্ত লঙ্ঘন করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণের ওয়েব সাইটে নতুন কী বিভাগে 'এলএসিতে চিনা আগ্রাসন' শিরোনামে একটি নথিতে এমনটাই দাবি করা হয়েছিল।
এখানেই শেষ হয়নি, একই সঙ্গে এই নথিতে বলা ছিল যে সীমান্তের উত্তাপ কমাতে দুই দেশের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে সামরিক পর্যায়ে কথাবার্তা চলছে। ৬ জুন একটি বৈঠকের কথাও বলা হয়েছে। ১৫ জুন ভারত আর চিনা সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের কথাও উল্লেখ করা ছিল। একই সঙ্গে ওই নথিতে উল্লেখ করা হয়েছিল ২২ জুন ভারত-চিন দ্বিতীয় সামরিক পর্যায়ের বৈঠকের কথাও। আর সেই বৈঠকে সেনা প্রত্যাহারের পাশাপাশি সৈন্য সংখ্যা হ্রাসের বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গও উল্লেখ করা হয়েছিল।
গালওয়ান থেকে প্যাংগং-এ ভারত-চিনের দ্বৈরথ, ফোটো নিউজে টাইম লাইন
কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে এলএসিতে চিনা আগ্রাসন শিরোনামের ওই নথিটি আচমকাই গায়েব হয়ে গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট লিঙ্কটি আর কাজ করছে না । যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এই আধিকারিক জানিয়েছেন এই বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না। তবে এই ঘটনায় দায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এড়াতে পারে না বলেই দাবি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির।
ড্রাগনদের নিঃশ্বাসে পিছিয়ে আসবে না ভারত, সর্বশক্তি দেবে প্যাংগং-এর আঙুল রক্ষায়.