বিহারের দুটি দলের জোটকে গত ১০ বছরে দ্বিতীয়বারের মতো 'রাজনৈতিক ব্যবস্থা' হিসাবে বর্ণনা করে, প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে । পাটনায় তিনি বলেন নীতিশ কুমার এই ধরনের রাজনৈতিক পালাবদলের জন্য দায়ি।
বিজেপির অপারেশন লোটাসকে টেক্কা দিয়ে বিহারে নীতিশ কুমার ও তেজস্ব যাদব হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করেছে। কিন্তু জাতীয় স্তরে আরজেডি ও জেডিইউ-র এই মহাজোট তেমন কোনও প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না বলেই মনে করছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর।
বিহারের দুটি দলের জোটকে গত ১০ বছরে দ্বিতীয়বারের মতো 'রাজনৈতিক ব্যবস্থা' হিসাবে বর্ণনা করে, প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে । পাটনায় তিনি বলেন নীতিশ কুমার এই ধরনের রাজনৈতিক পালাবদলের জন্য দায়ি। তারপরই তিনি বলেন এই জোট জাতীয় স্তরে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারবে বলেও মনে করেন না তিনি। একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষৎকারে তেমনই দাবি করেছেন ভোট কুশলী।
প্রশান্ত কিশোর বলেন, বর্তমানে নীতিশ আর তেজস্বীর প্রধান কাজই হল বিহারের মানুষের প্রত্যাশা পুরণ করা । ভোটের আগে তেজস্বী যাদব কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আগামী সেই প্রতিশ্রুতি পুরণ করা অত্যান্ত জরুরি। আর সেই কারণে অন্য কোনও দিকে তাকানোর সময় নেই দুজনের। তাই জাতীয় রাজনীতির তুলনায় তেজস্বী বা নীতিশ দুজনেকেই বিহারেই বেশি মন দিতে হবে।
প্রশান্ত কিশোর আরও বলেন , নীতীশ কুমার যখন অতীতে বিজেপির সাথে ছিলেন তখনও তার পথ ছেড়ে দেওয়ার অনেক সুযোগ ছিল। কেন তিনি তখন তা করেননি? এখন দেখার বিষয় যে আরজেডি-র সাথে নতুন সরকার আগের চেয়ে ভাল কাজ করবে কি না। তিনি আরও বলেন বিহারে গত কয়েক বছর ধরেই এজাতীয় রাজনৈতিক জোট দু বছরের জন্য স্থায়ী হয়েছে। তিনি বিহারের রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করতে পারেন। বিহারে বেশ কয়েকটি প্রচার অনুষ্ঠানও করছে তাঁর দল।
২০১৫ সালে নীতিশ কুমার ও লালু প্রসাদ যাদবের দল একসঙ্গে লড়াই করে বিহারের ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু বেশিদিন একসঙ্গে থাকেনি। ২০১৭ সালে লালু প্রসাদের সঙ্গ ছেড়ে বিজেপির হাত ধরেছিলেন নীতিশ। তার হাত ধরেই বিহারে বিজেপি উজ্জীবিত হয়েছিল। তবে ২০২০ সালে নির্বাচনে নীতিশ ও বিজেপি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটে লড়েছিল। কিন্তু সেবছর ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ট দল হয় রাষ্ট্রীয় জনতা দল। নেতৃত্বে ছিলেন মাত্র ৩২ বছরের তেজস্বী যাদব। তাঁরা পেয়েছিলেন ৭৫টি আসন। একটি আসন কম পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপি আর ৪৩ আসন পেয়ে তৃতীয় স্থানে পৌঁছে যায় নীতিশ কুমারের জেডিইউ। কংগ্রেসের দখলে ছিল ১৯টি আসন।