বর্তামানে রাষ্ট্রসংঘে ইউক্রেনের উপর এমার্জেন্সি স্পেসাল সেশন বা UNGA এর অধিবেশন চলছে। এই সেশনের ১১তন জরুরি বিশেষ অধিবেশণে ভাষণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত টিএস তিরুমূর্তি বলেছেন, বিরোধির শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তিতে ভারতের ধারাবাহিক অবস্থান রয়েছে।
আবারও ভারত রাষ্ট্রসংঘে (United Nations) রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) ইস্যুতে ভোটাভুটি (vote) থেকে নিজেকে সরিয়ে নিল। তবে রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান সংকট যে শুধুমাত্র আলোচনা ও কূটনৈতিক পদ্ধতিতেই সমাধান করা যাবে তা দৃঢ় কণ্ঠে জানিয়েছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদে (UNGA) একটি জরুরি অধিবেশন আহ্বানের জন্য রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুট হয়েছিল। সেখানে ভোটদানের সময় অনুপস্থিত থাকে ভারত। এই ভোটাভুটিতে প্রস্তাবের পক্ষে অর্থাৎ রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের বিরল বিশেষ জরুরি অধিবেশন আহ্বান করার পক্ষে ভোট দিয়েছে ২৯টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ৫টি। ১১টি দেশ ভোট দানের সময় অনুপস্থিত ছিল।
বর্তামানে রাষ্ট্রসংঘে ইউক্রেনের উপর এমার্জেন্সি স্পেসাল সেশন বা UNGA এর অধিবেশন চলছে। এই সেশনের ১১তন জরুরি বিশেষ অধিবেশণে ভাষণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত টিএস তিরুমূর্তি বলেছেন, বিরোধির শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তিতে ভারতের ধারাবাহিক অবস্থান রয়েছে। ভারত সরকার দৃঢ়়ভাবে বিশ্বাস করে যে কূটনৈতিক পথেই এই সমস্যা সমাধান হতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। যদে ভারতের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, রাষ্ট্রসংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকে ভারতের অনুপস্থিতির বিষয়ে নজর রেখেছে তারা। তিনি আরও বলেছেন, ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। ভারতের সঙ্গে এই বিষয়ে তারা যোগাযোগ রাখছে। আলোচনাও করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে নেড প্রাইস আরও বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের কারণে রাশিয়ার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যার প্রভাব ইতিমধ্যেই তাঁরা দেখতে শুরু করেছে। তিনি বলেন রুবেলের মূল্য কমেছে এক সেন্টের কমও। রাশিয়ার সার্বভৌম্য ঋণকেই জাঙ্ক অবস্থায় নামিয়ে আনা হয়েছে। ৫ মার্চ পর্যন্ত রাশিয়ার স্টক মার্কেন বন্ধ থাকছে।
যাইহোক ভারতের বিপরীতে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের বিরল জরুরি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হওয়ার পক্ষে বেশ কয়েক ডজন দেশের রাষ্ট্রদূত ভোট দিয়েছেন। অধিবেশনে উপস্থিত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়েস বলেছেন, যদি ইউক্রেন টিকে থাকে তাহলেই আন্তর্জাতিক শান্তি টিকবে। যদি ইউক্রেন না থাকে তাহলে আন্তর্জাতিক শান্তি টিকবে না। তিনি আরও বলেছেন ইউক্রেন টিকে না থাকলে গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে। তাতে অবশ্য ইউক্রেনের মানুষ আশ্চর্য হবে না। ১৯৯৭ সালের পর এটাই ছিল অ্যাসেম্বলির প্রথম জরুরি বৈঠক।
রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন ইউক্রেনে রাশিয়ান ফেডারেশনের সামরিক অভিযান মানবাধিকার লঙ্ঘন করএছে। ইউক্রেনে মানবাধিকার মনিটারিং মিশন কাজ করছে। মানবিক সংস্থাগুলি তাদের কার্যক্রম বাড়াবে। তিনি আরও বলেছেন ইউক্রেনে বন্দুক কাজ করছে। কিন্তু আলোচনার পথা এখনও খোলা রয়েছে। তবে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া পূর্ব ইউক্রেনেরর দুটি বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে প্রতিরক্ষা. একটি বিশেষ সামরিক অভিযান হিসেবে দেশের দাবিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
'কাশীতে আমার মৃত্যু কামনা করা হয়েছিল', বারাণসীতে ভোট প্রচারে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
ইউক্রেন থেকে উদ্ধার ভারতীয়দের, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে একটি ট্রিপে খরচ কোটি টাকা
রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা ইউক্রেনের, গণহত্যার জবাব চাইলেন জেলেনস্কি