মোদী বাইডেন বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ছায়া, আমেরিকাকে বিশেষ কোনও বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী?

রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক যুদ্ধের দামামার মধ্যে ভালো চোখে দেখছে না আমেরিকা। তবে নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা বোকামি হবে বলেই ধারণা ওয়াশিংটনের।

Parna Sengupta | Published : Apr 11, 2022 6:21 AM IST

বিশ্বের নজর রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের দিকে। সেই পরিস্থিতিতে সোমবার ভার্চুয়াল বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ২+২ বৈঠকের শেষ সাক্ষাতে এই দুই রাষ্ট্রনেতা দেখা করবেন। এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হবে প্রয়োজনীয় কথা। মনে করা হচ্ছে রাশিয়া ইউক্রেন সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে পারেন দুই নেতা। 

মোদীর ভূমিকা

রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক যুদ্ধের দামামার মধ্যে ভালো চোখে দেখছে না আমেরিকা। তবে নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা বোকামি হবে বলেই ধারণা ওয়াশিংটনের। তাই এই পরিস্থিতিতে মোদী বাইডেন বৈঠকে নজর রয়েছে ওয়াকিবহাল মহলের। কারণ রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের অবস্থান নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মোদী এই বৈঠক থেকেই এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। 

হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা তুলে ধরবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। হোয়াইট হাউস বলেছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার মারাত্মক হিংসাত্মক যুদ্ধের পরিণতি ভোগ করছে গোটা বিশ্ব। বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহ ও পণ্যের বাজারে এর অস্থির প্রভাব সরাসরি পড়েছে। এই বৈঠকে সেই বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

বিদেশ মন্ত্রক মোদী-বাইডেন বৈঠকের ঘোষণা করে এক বিবৃতি প্রকাশ করে। তারা জানিয়েছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির লক্ষ্যে ও স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপকে আরও জোরদার করতে দুই দেশ এই বৈঠকে সম্মত হয়েছে। দুই রাষ্ট্রনেতা সাম্প্রতিক দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা পর্যালোচনা করবেন এবং দক্ষিণ এশিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনাবলী এবং পারস্পরিক স্বার্থের বৈশ্বিক ইস্যুতে মতামত বিনিময় করবেন। 

আলোচ্য বিষয়

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ ছাড়াও দুই নেতার মধ্যে কোভিড পরিস্থিতি, জলবায়ু সংকট, বিশ্ব অর্থনীতির টানাপোড়েন, গণতন্ত্রের শক্তি ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা চলবে বলে জানানো হয়েছে। 

ভার্চুয়াল বৈঠকটি ইউক্রেন সঙ্কটে ভারতের অবস্থান এবং সেইসাথে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়ে  প্রশ্ন তুলতে পারে ওয়াশিংটন। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠকের পরে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিদেশ মন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের মধ্যে 2+2 মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। 2+2 সংলাপ ডোমেইন জুড়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা পর্যালোচনা করবে এবং দুই দেশের জন্য এগিয়ে যাওয়ার পথ নির্ধারণ করবে। 2+2 সংলাপে ইউক্রেন ইস্যুও উঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, মাস খানেক আগেই প্রশ্ন উঠেছিল রাশিয়ার সঙ্গে এই বন্ধুত্বের জন্য কী ভারতকেও ফল ভুগতে হতে পারে? কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রেক্ষিতে সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দেন মার্কিন সেনেটর। বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির মুলতুবি মনোনয়নের শুনানির সময় মার্কিন সেনেটর টেড ক্রুজকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এমন খবর রয়েছে যে বাইডেন প্রশাসন বিশ্বের বৃহতত্তম গণতন্ত্র ভারতের বিরুদ্ধে CAATSA নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে। তারই উত্তরে টেড ক্রুজ বলেন এজাতীয় কোনও নিষেধাজ্ঞা যদি ভারতের ওপর আরোপ করা হয় তাহলে তা হবে , 'অসাধারণভাবে বোকামি'। 

Share this article
click me!