আগামী ১৮ অগাস্ট পর্যন্ত স্থগিতাদেশের নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্টে ইউজিসির নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা
আবেদন করেছিলেন পরীক্ষার্থীরা
সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে ছিল সংস্থা
গত ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইউজিসি চূড়ান্ত বার্ষিক পরীক্ষারনেওয়ার আদেশ দিয়েছিল। কিন্তু এই আদেশের বিরুদ্ধে পড়ুয়ারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। সেই মামলায় আগামী ১৮ অগাস্ট পর্যন্ত স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি অশোক ভূষণ, সুভাষ রেড্ডি আর বিচারপতি এমআর শাহের বেঞ্চে শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ মামলাটি ওঠে। বেলা একটা পর্যন্ত মামলার শুনানি চলে। তারপরই শুনানির ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
প্রবীণ অ্যাডভোকেট শ্যাম দিভান আর্জিকারীদের পক্ষে সওয়ালে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। পাশাপাশি আনলক শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন উন্নত হয়নি। যাতায়াতের জন্য তাঁদের বিবিধ সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। মহারাষ্ট্রসহ একাধিক রাজ্যের কলেজেগুলিতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা হলে পরীক্ষার্থীদের একাধিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে।
অন্যএক আবেদনকারীর পক্ষে সওয়াল করেন অভিষেক মনু সিংভি। তিনি বলেন, ভারতের সব কলেজগুলিতে একই রকম সুবিধে পাওয়ায় যায় না। করোনাভাইরাসের সংক্রমমের কারণে অনেক কলেজে কোনও রকম ক্লাসের ব্যবস্থা করা যায়নি।
দিল্লি ও মহারাষ্ট্র পরীক্ষা বাতিল করার জন্য রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে পরামর্শ করে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছিল অনলাইনে পরীক্ষার সমস্যার কথাও।
আইনজীবী সিংভির কথায় ইউজিসি ১৫ এপ্রিল, ১ মে, ২৯ জুনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কিছুটা হলেও স্পষ্ট হয় যে সংস্থাটি করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবের কথা বুঝতে পেরেছিল। কিন্তু এখন সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। মহামারী প্রায় চূড়ায় অবস্থান করছে। তখন ইউজিসি কী ভাবে পরীক্ষা বাধ্যতামূল করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলেও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
অ্যাডভোকেট শ্যাম দিবান বলেন, জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ইউজিসির আইনের উপর প্রভাব ফেলবে। কারণএ এগুলি কেবল গাইডলাইন। কারণ জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আইনে বলা হয়েছে এই আইন লাগু হলে অন্যসব বিধানকে ছাড়িয়ে যাবে।