বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ৩০ বছর, জানুন এখন কেমন আছে মন্দির-মসজিদের শহর অযোধ্যা

বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর কেটে গেছে ৩০ বছর। সরজু দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। বদলে গেছে অযোধ্যা। কড়া নিরাপত্তা থাকলেও অযোধ্যাবাসী নিজেদের জীবন গুছিয়ে নিতেই বেশি ব্যস্ত।

Web Desk - ANB | Published : Dec 6, 2022 2:52 AM IST

দেখতে দেখতে তিন দশক পার করে দিল বাবরি মসজিদ ধ্বংস। তবে এখন আর আগের মত এই এলাকায় উত্তেজনা নেই। অন্যান্য দিনের মতই তীর্থযাত্রীরা এই শহরে আসা যাওয়া করবে। তবে কোনও রকম অশান্তি এড়াতে পুলিশ অযোধ্যার নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। ৩০ বছর আগে ঠিক এই দিনেই অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বর 'কর সেবক'রা ধ্বংস করে দিয়েছিল ১৬ শতকের তৈরি বাবরি মসজিদ। তবে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বেশ কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু হিন্দু ও মুসলিম দুই মস্প্রদায়ের মানুষই সেগুলি নিয়ে বেশি উৎসাহী নয়। আগে এই বিশেষ দিনটিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ 'শৌর্য দিবস' পালন করত। আর মুসলিম সম্প্রদায় 'কালা দিবস' পালন করত। কিন্তু এখন আর সেগুলি পালন করা হয় না।

২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মাধ্যমে রাম জন্মভূমি বিরোধের অবসান ঘটলে উভয় সম্প্রদায়ের এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় মনোযোগী। স্থানীয় ব্যবসায়ী নিমিত পাণ্ডে জানিয়েছে, অযোধ্যার পরিস্থিতি এখন বদল গেছে। এলাকার মানুষ শান্তি চাইছে। আগে ৬ ডিসেম্বর প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হত, কিন্তু এখন আর তা হয় না। গত কয়েক বছর বাবরি মসজিগ ধ্বংসের বার্ষিকীকে সামনে রেখে অযোধ্যাকে দুর্গে পরিণত করা হত। যদিও এবার ছবিটা অনেকটাই আলাদা।

অযোধ্যার পুলিশ জানিয়েছে, অযোধ্যার পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ। তবে এই দিশের জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আযোধ্যায় ৮টি প্রধান প্রবেশ পথ রয়েছে। সেগুলিতে নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাম মন্দির কমল্পেক্সের আশেপাশে পুলিশদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পিটিআইকে পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, অন্যান্য দিনও এই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকে।

আগেই সুপ্রিম কোর্টের অধীনে দুটি সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা করে দুটি ধর্মীয় স্থান তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের সেক্রেটারি চম্পত রাই বলেছেন বিশাল রাম মন্দির নির্মাণের দায়িত্ব রয়েছে তাদের ওপর। ই২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এই মন্দির ভক্তদের খুলে দেওয়া হবে। ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের সেক্রেটারি আতহার হুসেন, জানিয়েছেন তাঁরা পাঁচ একর জমির ওপর একটি মসজিদ নির্মাণ করছেন। এটি ২০২৩ সালের মধ্যে প্রস্তুত হবে। তবে তিন দশক আগের অযোধ্যা এখন আর নেই বলেও দাবি করেছেন কৃষ্ণ কুমার নামে এক ছোট ব্যবসায়ী। অযোধ্যাবাসী এখন মন্দির মসজিদের থেকে নিজেদের নিয়েই বেশি ব্যস্ত।

আরও পড়ুনঃ

G-20 সম্মেলন সফল করতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক মোদীর, মমতার বললেন বিরোধীদের প্রতিনিধিত্ব করতে দেওয়া উচিত

ভোরের আগুনে পুড়ে ছাই নিউটাউনের ২০টি দোকান, ২ ঘণ্টার চেষ্টা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল

ভারত জোড়ো যাত্রায় 'মোদী' স্লোগানেও আপত্তি নিয়ে রাহুল গান্ধীর, ভালবেসেই কাছে টানার বার্তা

 

 

Share this article
click me!