শিবসেনার সঙ্গে কংগ্রেস ও এনসিপির বৈঠকে মন্ত্রীসভার ভাগাভাগি থেকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারের দখল বা সাভারকরকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি - বিভিন্ন ইস্যুতেই শিবসেনার সঙ্গে তাদের নতুন জোটসঙ্গী কংগ্রেসের মতের মিল হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাধারণ ন্যুনতম কর্মসূচি নির্ধারণের বৈঠকের পর এরকমটাই জানা গিয়েছিল। কিন্তু পরদিনই ফের বদলে গেল মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি।
এদিন এনসিপি নেতা নবাব মালিক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী শিবসেনা থেকেই হবে। একইসঙ্গে এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার দাবি করেছেন, তিন দলের জোটের সরকার আগামী পাঁচ বছরই ক্ষমতায় থাকবে। শনিবারই তিনদলের প্রতিনিধিরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন বলেও জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার জানা গিয়েছিল শিবসেনার কাছে ৫০-৫০ ফর্মুলা প্রয়োগে আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি করেছে এনসিপি। এদিন সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে সেই কথা উড়িয়ে দিয়ে নবাব মালিক বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে বিবাদ নিয়েই বিজেপির সঙ্গে তিন দশকের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে শিবসেনা। তাই তাদের নেতাই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। কারণ জোটসঙ্গী হিসেবে শিবসেনার স্বাভিমান যাতে বজায় থাকে সেটা দেখা তাঁদের কর্তব্য।
তবে এই অবিজেপি দলগুলির মিলিজুলি সরকারের কী দসা হয় তা এর আগে বিহারে নীতিশ কুমারের জেডিইউ ও লালুপ্রসাদের আরজেটির জোট সরকার মাত্র একবছর মতো টিকেছিল। কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের পরিণতিও তাইই হয়েছে। কিন্তু মহারাষ্ট্রে তা হতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। বর্ষিয়াণ রাজনীতিবিদ দাবি করেছেন, যত সমস্যাই হোক, আগামী পাঁচ বছর তাঁদের জোটই সরকার চালাবে মহারাষ্ট্রে। এর জন্য বেশি করে সময় নিয়ে নিজেদের বিরোধগুলি মেটানো হচ্ছে। তবে আগামী ২০ দিনের মধ্যেই মতুন সরকার গঠন করা হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, শনিবার শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস দলের প্রতিনিধিরা একসঙ্গে গিয়ে দেখা করবেন রাজ্যপালের সঙ্গে। তবে তা সরকার গঠনের দাবি নিয়ে নয়, অসময়ের অতিবৃষ্টিতে কৃষকরা যে দুরবস্থার মধ্যে পড়েছেন, তাদের কীভাবে সুরাহা দেওয়া যায় সেই নিয়ে আলোচনা করতে। তবে সেখানে একেবারেই যে সরকার গঠন নিয়ে কথা হবে না, তা কেউই বিশ্বাস করছেন না।