ধর্ষণের শিকার নাবালিকা কুমারী মায়েদের পাশে কেন্দ্র, নির্ভয়া স্কিম চালু করে জানালেন স্মৃতি ইরানি

নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি জানিয়েছেন, প্রকল্পের নাম নির্ভয়া স্কিম। এই প্রকল্প চালু করার প্রধান লক্ষ্যই হল গর্ভাবতী নির্যাতিতা নাবালিকাদের পরিকাঠামোগত ও আর্থিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা।

 

Saborni Mitra | Published : Jul 3, 2023 3:24 PM IST

ধর্ষণের কারণে যেসব মহিলারা গর্ভবতী হয়ে পড়েন অনেক সময় তাদের পরিবার তাদের পাশে থাকে না। এবার সেইসমস্ত নির্যাতিতা পরিবার পরিত্যক্তা মহিলাদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার এই প্রকল্প চালু করার পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, ধর্ষণের কারণে গর্ভাবতী পরিবার পরিত্যক্ত নাবালিকাদের আশ্রয়, খাদ্য ও আইনি সাহায্য দেবে কেন্দ্র সরকার।

এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি জানিয়েছেন, প্রকল্পের নাম নির্ভয়া স্কিম। এই প্রকল্প চালু করার প্রধান লক্ষ্যই হল গর্ভাবতী নির্যাতিতা নাবালিকাদের পরিকাঠামোগত ও আর্থিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা। যাদের নিজেদের রক্ষা করার উপায় নেই তাদের পাশে কেন্দ্রীয় সরকার দাঁড়াতে চায় বলেও জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যের সহযোগিতায় এজাতীয় প্রকল্প চলবে বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমরা রাজ্য সরকারের ও শিশুদের নিয়ে যে সংস্থাগুলি কাজ করে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি।' তিনি বলেন এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যই হল তৃণমূল স্তরের নিবালিকা নির্যাতিতাদের বিচার পেতে সহযোগিতা করা। পাশাপাশি তাদের নিরাপদ জীবন দেওয়া। এই প্রকল্পটি মিশন বাৎসল্য শিশুদের সুরক্ষা ও কল্যাণের উপর সঙ্গে যুক্ত।

২০২১ সালে চালু হয়েছিল মিশন বাৎসল্য শিশুদের সুরক্ষা ও কল্যাণ প্রকল্প। স্মৃতি ইরানি বলেছেন, নতুন প্রকল্পের অধীনে এই অতিরিক্ত সহায়তা শিশুদের দেওয়া হয। তিনি আরও বলেছেন, চাইল্ড কেয়ার ইনস্টিটিউট ও আফটার কেয়ারে থাকে মহিলারাই এই সুবেধে পারে। ১৮-২৩ বছর বয়সী মেয়েরা মূলত এই প্রকল্পের আওতায় থাকবে।

স্মৃতি ইরানি জানিয়েছেন, আদালতের শুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য মেয়েদের নিরাপদ পরিবহনের ব্যবস্থা করা হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, দেশে ৪১৫ টি POCSO ফাস্ট-ট্র্যাক আদালত প্রতিষ্ঠা করে নাবালিকা ধর্ষিতাদের জন্য ন্যায় বিচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ন্যাশানাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য অনুসারে ২০২১ সালে ৫১৮৮৩টি POCSO আইনের মামলা দায়ের করা হয়েছিল ২০২১ সালে। যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৬৪ শতাংশ পেনিট্রিটিভ যৌন নিপীড়ন ও ক্রমর্ধমান অনুপ্রবেশমূলক যৌন নিপীড়নের। নতুন স্কিমটি অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের সুবিধে দেওয়ার পাশাপাশি যারা অনুপ্রবেশমূলক যৌন নিপীড়ন ও উত্তেজনাপূর্ণ অনুপ্রবেশমূলক যৌন নির্যাতনের শিকার তারাও এই সুবিধে পাবে।

একজন প্রবীণ আধিকারিক বলেছেন যে এই স্কিমের লক্ষ্য হল এক ছাদের নীচে ভিকটিম মেয়ে শিশু এবং তার নবজাতকের জন্য শিক্ষা, পুলিশ সহায়তা, কাউন্সেলিং, আইনি সহায়তা এবং বীমা কভার সহ বিভিন্ন পরিষেবাতে তাত্ক্ষণিক, জরুরী এবং অ-জরুরী সুবিধেগুলি পৌঁছে দেওয়া। এই প্রকল্পের অধীনে নির্যাতিতা ও তার সদ্যোজাত সন্তানের চিকিৎসার সুবিধেগুলি যেমন রয়েছে, তেমনই প্রসূতি নব-জাতক ও শিশুর যত্ন। তবে এই প্রকল্পের সুবিধে পাওয়ার জন্য এফআইআরএর একটি কপি পেশ করতে হবে নির্যাতিতাকে।

Share this article
click me!