ইস্যু যখন পেট্রো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, সনিয়া আর রাহুলের তখনও 'মহামারি' তোপ বিজেপিকে

পেট্রোল ডিজেলের দাম নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা কংগ্রেসের
সংকটের সময়ে দেশের মানুশের পাশে থাকার আর্জি বিজেপি সরকারকে
সোশ্যাল মিডিয়ায় বললেন সনিয়া গান্ধী
সরকার ধনীদের ঋণ মকুব করছে অভিযোগ রাহুলের 
 

Asianet News Bangla | Published : Jun 29, 2020 12:05 PM IST

আবারও সরব হলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। এবার তিনি মুখ খুললেন জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিকে ইস্যু করে। পেট্রোল ও ডিজেলের দাম আকাশ ছোঁয়ার প্রতিাদে পথে নেমেছে কংগ্রেস। সোশ্যাল মিডিয়ায় স্পিক আপ অ্যাগেইনস্ট ফুয়েল হাইক নামে একটি ক্যাম্পেনও শুরু করেছে শতাব্দী প্রাচীন দলটি। সেখানেই সনিয়া গান্ধী বলেন মহামারীর সময় দেশের সাধারণ মানুষে পাশে না দাড়িয়ে মুনাফার দিকে নজর দিচ্ছে বিজেপি সরকার। তাঁর অভিযোগ লকডাউনের পর থেকে এপর্যন্ত ২২ বার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। আর আর্থিক সংকটের এই সময় চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষদের।

জুলাই মাসেই ভারতে আসছে বহু প্রতীক্ষির রাফাল , প্রথম দফায় ৬টি যুদ্ধ বিমান হাতে পাবে বাহিনী 

আকসাই চিন থেকে ভারতকে দূরে রাখার লক্ষ্যেই সীমান্ত উত্তাপ, বেজিং-এর গেম প্ল্যান তেমনই বলছে ...
সনিয়া গান্ধীর অভিযোগ ২০১৪ সালের পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলেন দাম ক্রমশই নিম্মগামী। কিন্তু বিজেপি সরকার দেশের মধ্যে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম না কমিয়ে তা বাড়িয়েই চলেছে। মহামারীর সময়ও ধাপে ধাপে দাম বাড়ান হচ্ছে জ্বালানি তেলের। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে দেশের সাধারণ মানুষ, মধ্যবিত্তি, ছোটব্যবসায়ীদের ওপর। সনিয়া গান্ধী অবিলম্বে পেট্রোল ও ডিজেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। 


পেট্রো পণ্য মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন মহামারীর এই সময় কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি ২২ বার আঘাত করছে দেশের গরিব মধ্যবিত্ত  ও ছোট ব্যবসায়ীদের। কারণ করোনাভাইরাসের এই সংকটের সময় দেশের ২২ বার পেট্রোল আর ডিজেলের দাম বেড়েছে। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমশই নিম্নগামী অপরিশোধিত তেলের দাম। রাহুলের আবেদন সরকার অবিলম্বে পেট্রোল আর ডিজেলের বর্ধিত এক্সাইজ ডিউটি প্রত্যাহার করে সুরাহা করে দিক মানুষের। পাশাপাশি রাহুল গান্ধী আবারও 'ন্যায় প্রকল্প'-এর কথা তোলেন। তিনি বলেন এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের দরিদ্র মানুষকে সরাসরি টাকা দিক সরকার। তাতেই দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলেও তিনি দাবি করেছেন। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দেশে দরিদ্রি, পিছিয়ে পড়া মধ্যবিত্ত মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে দেশের ধনী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করছে বলেও অভিযোগ করেন। তিনি বলেন করোনার এই সংকটে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। অথচ দেশের সরকার শুধুমাত্র ১৫ ধনী মানুষের ঋণ মকুব করে তাঁদের পাশে থাকার বর্তা দিয়েছে। আর তাতেই অসহায় অবস্থায় পড়েছে দেশের অধিকাংশ মানুষ। 


রবিবার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়েনি। কিন্তু সোমবার আবারও দাম বেড়েছে জ্বালানি তেলের। লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম বেড়েছে ৫ পয়সা। আর ডিজেলের দাম বেড়েছে ১৩ পয়সা। দিল্লিতে পেট্রোলের থেকেও দামি হয়েছে ডিজেল। দিল্লিতে পেট্রোলের দাম ৮০ টাকা ৪৩ পয়সা। আর ডিজেলের দাম ৮০ টাকা ৫৩ পয়সা। মুম্বইতে পেট্রোল আর ডিজেলের দাম ৮৭টাকা ১৪ পয়সা আর ৭৮ টাকা ৮৩ পয়সা। কলকাতা জ্বালানি তেলের দাম ৮২টাকা ৫ পয়সা ও ৭৫টাকা ৫২ পয়সা। 

Share this article
click me!