পূর্ব লাদাখ সেক্টরে এখনও পর্যন্ত সমস্যা রয়েছে দক্ষিণ ডেমচোকের দোপসাং, বালড, চারডিং নুল্লা জংশন এলাকায়। হট স্প্রিং এলাকা থেকেই দুই দেশের সেনা প্রত্যাহার নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
অরুণাচল প্রদেশে (Arunachal Pradesh) চিনা আগ্রাসনের (Chinese Agration) মোকাবিলা করতে না করতেই লাদাখ সীমান্ত (Ladakh Border) সমস্যা নিয়ে আলোচনায় বসার উদ্যোগ নিয়েছে দুই দেশ। সূত্রের খবর আগামিকাল আর্থাৎ রবিবার পূর্ব লাদাখ সেক্টরের সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ভারত ও চিন (India-China) দুই দেশের সেনাবাহিনীর কর্তারা আলোচনায় বসতে চলেছে। রবিবার চুশুলে বৈঠকটি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতের লাদাখ কর্পস কমান্ডার ও চিনের দক্ষিণ জিনজিয়াং সামরিক জেলা কমান্ডার থাকবেন আলোচনার টেবিলে। পূর্ব লাদাখ সেক্টরে ভারত ও চিনা সেনাদারে এখনও কয়েকটি অঞ্চল নিয়ে সমস্যা রয়েছে। সেই স্থানগুলির সমস্যা সমাধানেই আলোচনা হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
পূর্ব লাদাখ সেক্টরে এখনও পর্যন্ত সমস্যা রয়েছে দক্ষিণ ডেমচোকের দোপসাং, বালড, চারডিং নুল্লা জংশন এলাকায়। হট স্প্রিং এলাকা থেকেই দুই দেশের সেনা প্রত্যাহার নিয়েও আলোচনা হতে পারে। পূর্ব লাদাখ এলাকায় ভারত-চিন দুই দেশের মধ্যে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য হটস্প্রিং যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বলেও মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আগেও এই এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির (PLA) ৫০ জন সদস্য এই এলাকায় ১৫ নম্বর পয়েন্টে টহল দিচ্ছে। পাল্টা এই এলাকা ভারতীয় সেনারাই অবস্থান করছে। কার্যত দুই দেশের সেনা জওয়ানরা মুখোমুখি অবস্থান করছে।
অদ্ভুদ Lifestyle, একটি মাত্র স্বপ্ন নিয়ে ১৭ বছর গাড়িতে বনবাসে এই মানুষটি
Drug Case: কেন আরিয়ান খান জামিন পেল না, আদালতে কী বলল NCB- রইল সব তথ্য
গত বছর এপ্রিল মাস থেকেই পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমা রেখা এলাকায় চিনা সেনা আগ্রাসনের কারণে এই এলাকায় উত্তাপ বাড়ছে। জুন মাসে ভারত ও চিনা সেনার সংঘর্ষে রক্তাক্ত হয়েছে গালওয়ান উপত্যাকা। তারপর থেকে পূর্ব লাদাখ সেক্টরে প্রায় যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে দফায় দফায় আলোচনা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হয়েছে। বেশ কিছু এলাকা থেকে ইতিমধ্যেই সেনা সরিয়ে নিয়েছে দুই দেশ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকটি এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। ভারতের সেনা বাহিনীর পাশাপাশি স্ট্যান্ডঅব মোডে রয়েছে বিমান বাহিনীও। বেশকিছু ফাইটার জেটও ফরোয়াড এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।
'দয়া করে অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসটা দেখুন', কেন সাধারণের কাছে এমন আর্জি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের
এক পর্যবেক্ষক জানিয়েছেন যদি ১৫ নম্বর পয়েন্ট থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে ভারত আর চিন দুই দেশই একমত হয় তাহলে ১৬ মাস পরে পূর্ব লাদাখ সেক্টরে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হবে। দুই দেশই সেনা সরিয়ে নিতে পারবে। আগেও সামরিক চুক্তির মাধ্যমে গোগরা হয়স্প্রিং থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।