যোশীমঠ মামলা: 'প্রতিটি ক্ষেত্রে এখানে আসার প্রয়োজন নেই'- তাৎক্ষণিক শুনানি প্রত্যাখ্যান সুপ্রিম কোর্টের

Published : Jan 10, 2023, 05:36 PM IST
CJI, Supreme Court, Chief Justice of India, Court Virtual Hearing, Court Physical Hearing

সংক্ষিপ্ত

আবেদনকারী স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী শীর্ষ আদালতে আবেদন করার সময় বলেছিলেন যে এই বিষয়ে শুনানির জরুরি প্রয়োজন এবং এই সংকটকে জাতীয় বিপর্যয় হিসাবে ঘোষণা করা উচিত।

যোশীমঠ মামলার জরুরি শুনানি প্রত্যাখ্যান করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে শুনানির জন্য এখন ১৬ জানুয়ারি পরবর্তী তারিখ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই সময় সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে প্রতিটি ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালতে আসার দরকার নেই। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো এ নিয়ে কাজ করছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিমার বেঞ্চ এই বিষয়ে শুনানি করছেন।

আবেদনকারী যোশীমঠ সংকটকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছিলেন

জানা গিয়েছে যে আবেদনকারী স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী শীর্ষ আদালতে আবেদন করার সময় বলেছিলেন যে এই বিষয়ে শুনানির জরুরি প্রয়োজন এবং এই সংকটকে জাতীয় বিপর্যয় হিসাবে ঘোষণা করা উচিত। যার উপর প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিমহার বেঞ্চ মঙ্গলবার অর্থাৎ ১০ তারিখ দিয়েছিল, কিন্তু এখন আদালত তাৎক্ষণিক শুনানি প্রত্যাখ্যান করেছে।

আবেদনকারী এই যুক্তি দেন

আবেদনকারী বলেছিলেন যে আজ যোশীমঠে যা কিছু ঘটছে তা খনি, বড় প্রকল্প নির্মাণ এবং এর জন্য ব্লাস্টিংয়ের কারণে ঘটছে। এটা মহা বিপর্যয়ের লক্ষণ। বলা হচ্ছে, নগরীতে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে জনগণ আওয়াজ তুলেছে কিন্তু সরকার তা গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি। আজ একটি ঐতিহাসিক, পৌরাণিক ও সাংস্কৃতিক শহর এবং সেখানে বসবাসকারী মানুষ এর খেসারত বহন করছে।

যোশীমঠ শহরে অনিরাপদ ভবনের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে

যোশীমঠ শহরে অনিরাপদ ভবনের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। এ পর্যন্ত মোট ৬৭৮টি ভবন চিহ্নিত করা হয়েছে। সোমবার মালারি ইন এবং মাউন্ট ভিউ হোটেলে সমীক্ষা করেছে সিবিআরআই দল। মঙ্গলবার থেকে এই দুটি হোটেল থেকেই ভবন ভাঙার কাজ শুরু হবে। এসব হোটেলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হচ্ছে যে উপগ্রহ চিত্র দেখে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। ইতিমধ্যেই। ৬০০ পরিববারকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সবথেকে বেশি বিপজ্জনক বাড়িগুলি ‘ডেঞ্জার জ়োন’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এবং সেগুলিতে লাল কালি দিয়ে দাগ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই বাড়িগুলিই আগে ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়ে গেছে। কারণ, বিশেষজ্ঞদের মতে, ভেঙে যাওয়া বাড়িগুলি আশেপাশের কম ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলিতে আরও ক্ষতি করে দিতে পারে।

ভূমি অবনমনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত জোশীমঠে বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করার জন্য দেবভূমিকে মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করেছে প্রশাসন। এই তিনটি ভাগের নাম দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে ‘ডেঞ্জার জ়োন’ বা বিপজ্জনক, ‘বাফার জ়োন’ বা অপেক্ষাকৃত কম বিপজ্জনক এবং ‘সেফ জ়োন’ বা নিরাপদ।

PREV
click me!

Recommended Stories

8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে সরকার জানাল সাফ কথা! ২.৮৬ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে বেতন?
যোগী সরকারের উত্তরপ্রদেশ ডিজিটাল পাওয়ারহাউস: স্টার্টআপ, আইটিতে রেকর্ড বৃদ্ধি