এমারাল্ড কোর্ট প্রকল্পে ৪০ তলা টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। তিন মাসের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ করার আদেশ।
সুপারটেকের (Supertech) জন্য বড় ধাক্কা। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) তিন মাসের মধ্যে নয়ডায় রিয়েল এস্টেট কোম্পানির এমারাল্ড কোর্ট প্রকল্পে (Emerald Court project) ৪০ তলা টুইন টাওয়ার (Illegal Twin Towers) ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ নয়ডা কর্তৃপক্ষ এবং রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারের মধ্যে এই প্রজেক্ট নিয়ে কোনও অবৈধ লেনদেন গড়ে উঠেছে।
দেশের শীর্ষ আদালত ১২ শতাংশ সুদ সহ গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া সমস্ত অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টের ২০১৪ সালের আদেশের বিরুদ্ধে গিয়ে সুপারটেকের দায়ের করা একটি আবেদন খারিজ করে। এরপর অবৈধ নির্মাণটিকে ভেঙে ফেলার নির্দেশ জারি করে।
দারুণ সুযোগ, আগামী পাঁচ দিন সবচেয়ে কম দামে মিলবে সোনা, ঘোষণা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের
মুসলিম নয়, শুধু হিন্দুদের আশ্রয় দিচ্ছে ভারত, দিল্লি থেকে বিতাড়িত হয়ে বিস্ফোরক আফগান সাংসদ
Bank Holidays in September : সেপ্টেম্বর মাসে কোন কোন দিনে বন্ধ ব্যাঙ্ক, দেখে নিন তালিকা
বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এম আর শাহের দুই বিচারপতির বেঞ্চ উল্লেখ করেছে যে, বাসস্থানের প্রয়োজনীয়তা যেমন দরকার, তেমনই প্রয়োজন পরিবেশের সুরক্ষা। এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য রেখে তবেই কোনও নির্মাণ গড়ে উঠতে পারে। যেখানে এই দুইয়ের ভারসাম্য নেই, সেই নির্মাণ অবৈধ। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা জানিয়েছেন নির্মিত টাওয়ারগুলি ভাঙার জন্য সুপারটেককে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সুপারটেক এমারাল্ড কোর্ট রেসিডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনে দুকোটি টাকা দিতে হবে।
আদালত এদিন জানায়, টুইন টাওয়ার নির্মাণের জন্য উত্তর প্রদেশ অ্যাপার্টমেন্ট অ্যাক্টের আওতায় পৃথক ফ্ল্যাট মালিকদের সম্মতির প্রয়োজন ছিল, যা নেওয়া হয়নি। হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের কিছু অংশে সম্মতি দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জানাচ্ছে ২০০৯ সালে নয়ডা কর্তৃপক্ষ যে প্রকল্পটির অনুমোদন দুয়েছিল, তা অবৈধ ছিল। কারণ এই প্রজেক্টে দুটি বিল্ডিংয়ের মধ্যে দূরত্ব, অগ্নি নিরাপত্তা বিধি, জাতীয় বিল্ডিং কোড মেনে চলা হয়নি।
এপেক্স এবং সায়ানে-এই দুটি টাওয়ার ভেঙে ফেলা হবে। এর মধ্যে রয়েছে মোট ৯১৫টি অ্যাপার্টমেন্ট এবং ২১টি দোকান। যার মধ্যে ৬৩৩টি ফ্ল্যাট বুক করা হয়ে গিয়েছে।