সরকারি চাকরি এবং পদন্নোতির জন্য সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক নয়। এই ধরনের সংরক্ষণ মৌলিক অধিকারের মধ্যেও পড়ে না বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখযোগ্য রায়ে এমনই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট-এর বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং হেমন্ত গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ। সরকারি চাকরি এবং পদন্নোতিতে সংরক্ষণ রাখার জন্য শীর্ষ আদালত কোনও রাজ্য সরকারকে বাধ্য করতে পারে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে সরকারি চাকরিতে কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বে যদি ভারসাম্য না থাকে একমাত্র সেক্ষেত্রেই আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে জানিয়েছেন বিচাপতিরা।
উত্তরাখণ্ড সরকারের পূর্ত দফতরে এসসি এবং এসটি সম্প্রদায়ের কর্মীদের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পদন্নোতির জন্য সংরক্ষণ চেয়ে আবেদনের ভিত্তিতে দায়ের হওয়া একটি মামলায় শুক্রবার এই রায় দেয় শীর্ষ আদালত। রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই ধরনের দাবি করার কোনও মৌলিক অধিকার থাকতে পারে না।
বিচারপতিরা বলেন, 'রাজ্য সরকারগুলি যে সংরক্ষণ করতে বাধ্য নয়, এটা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। এমন কোনও মৌলিক অধিকার নেই যার উপর ভিত্তি করে কেউ পদোন্নতির জন্য সংরক্ষণের দাবি করতে পারে। এমন কোনও নির্দেশও রাজ্য সরকারকে আদালত দিতে পারে না।'
২০১২ সালে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট একটি রায়ে রাজ্য সরকারকে নির্দিষ্ট কিছু সম্প্রদায়কে চাকরিতে সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পরে সেই নির্দেশ বাতিল হয়ে গেল।
আদালতের শুনানি চলাকালীন কপিল সিবল, কলিন গঞ্জালভেস এবং দুশ্যন্ত দাভে-র মতো সিনিয়র আইনজীবীরা যুক্তি দেন, সংবিধানের ১৬(৪) এবং ১৬(৪-এ)-র মতো ধারাগুলির অধীনে এসসি এবং এসটি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সাহায্য করার দায়িত্ব রয়েছে রাজ্য সরকারের। যদিও আদালত পাল্টা জানায়, এই ধারাগুলির প্রয়োগ রাজ্য সরকার তখনই করতে পারে যখন তারা মনে করবে যে সরকারি চাকরিতে কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নেই।