'বন্ধ করুন নাহলে আমরা করব', সিএএ বিক্ষোভ নিয়ে শীর্ষ আদালতে জোর ধাক্কা যোগী সরকারের


উত্তরপ্রদেশে ভোট (UP Elections 2022) চলাকালীনই আদালতে বড় ধাক্কা খেল যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকার। ২০১৯ সালের সিএএ-বিরোধী প্রতিবাদে (2019 Anti-CAA Protests) অর্থ পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া বন্ধের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India)। 

Web Desk - ANB | Published : Feb 11, 2022 3:47 PM IST / Updated: Feb 11 2022, 09:22 PM IST

উত্তরপ্রদেশে ভোট (UP Elections 2022) চলাকালীনই আদালতে বড় ধাক্কা খেল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকার। ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের প্রতিবাদে (2019 Anti-Citizenship (Amendment) Act Protests) বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে যোগী সরকার সরকারি সম্পত্তির ক্ষতির জন্য অর্থ পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। শুক্রবার এই প্রক্রিয়া অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। আদালত বলেছে, এই সকল বিচার প্রক্রিয়া প্রত্যাহার করার জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, উত্তরপ্রদেশ সরকারকে চূড়ান্ত সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। নাহলে, আইন লঙ্ঘনের কারণে আদালতই মামলাগুলি খারিজ করে দেবে। 

এদিন, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud) এবং বিচারপতি সূর্য কান্তের (Surya Kant) বেঞ্চ বলেন, উত্তরপ্রদেশ সরকার (UP Govt) সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে অভিযুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া পরিচালনার ক্ষেত্রে একইসঙ্গে 'অভিযোগকারী, বিচারক এবং শাস্তিদাতা'র মতো ভূমিকা গ্রহণ করছে। সরকারের উচিত আইনি পথ অনুসরণ করা। এই কার্যক্রম অবিলম্বে প্রত্যাহার না করলে, সুপ্রিম কোর্ট আইন লঙ্ঘনের কারণ দেখিয়ে মামলাগুলি খারিজ করে দেবে। 

আরও পড়ুন - বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণ মামলায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড একমাত্র বাংলাদেশী জঙ্গির

আরও পড়ুন - হিজাব ইস্যুকে জাতীয় সমস্যা বানাবেন না, কড়া বার্তা সুপ্রিম কোর্টের

আরও পড়ুন - সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের পিছনে কি আইএস, কাশ্মীরি দম্পতি গ্রেফতারে উঠছে গুরুতর প্রশ্ন

এই বিষয়ে শীর্ষ আদালতে উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন পারওয়াইজ আরিফ টিটু নামে জনৈক ব্যক্তি। সেই আবেদনের ভিত্তিতে হওয়া মামলার শুনানি চলাকালীনই আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। টিটু তাঁর আবেদনে বলেছিলেন, মুসলিম নাম দেখেই এলোমেলোভাবে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণের নোটিশ পাঠাচ্ছে যোগী সরকার। উদাহরণ হিসাবে তিনি দেখান ছয় বছর আগে মৃত্যু হওয়া এক ৯৪ বছরের বৃদ্ধকেও নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ৯০-ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের-সহ বেশ কয়েকজন এমন ব্যক্তিকেও এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে, যারা বয়সের কারণেই হিংসাত্মক প্রতিবাদে সামিল হতে পারবেন না। 

রাজ্য সরকারের কৌঁসুলি গরিমা প্রসাদ (Garima Prashad) জানান, ৮৩৩ জন দাঙ্গা-হাঙ্গামাকারীদের বিরুদ্ধে ১০৬টি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ২৭৪ জনের ক্ষেত্রে সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের নোটিশ জারি করা হয়েছে। তারমধ্যে ২৩৬টি ক্ষেত্রে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩৮টি ক্ষেত্রে মামলা বন্ধ করা হয়েছে।

গরিমা প্রসাদকে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলে, ২০০৯ এবং ২০১৮ সালে আদালত দুটি মামলার রায় দিয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছিল ট্রাইব্যুনালে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়োগ করতেই হবে। কিন্তু, তার পরিবর্তে উত্তরপ্রদেশ সরকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা এডিএম-দের নিয়োগ করেছে। কেন আদালতের নির্দেশ মানা হয়নি, সেই প্রশ্ন করেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। সরকারের এই কার্যক্রম, আদালতের নির্ধারিত আইনের পরিপন্থী বলে, জানানো হয়। সেইসঙ্গে কথা না শুনলে পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

Read more Articles on
Share this article
click me!