তরুণ বিজয় বলেছেন যে তিনি দুই দিন আগে জায়গাটি পরিদর্শন করেছিলেন এবং আদি শঙ্করের জন্মস্থানের তাৎপর্য সম্পর্কে একটি বিশদ প্রতিবেদন তৈরি করবেন। এটি গত শতাব্দীতে আদি শঙ্কর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত শ্রেঞ্জরি পীথামের তৎকালীন শঙ্করাচার্য দ্বারা পুনরায় আবিষ্কৃত হয়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেদারনাথ মন্দির অঞ্চলে আদি শঙ্করের একটি মূর্তি উন্মোচন করেছেন।
ন্যাশনাল মনুমেন্টস অথরিটি (NMA) চেয়ারম্যান তরুণ বিজয় (Tarun Vijay) সোমবার কেরালার গভর্নর আরিফ মোহাম্মদ খানের (Kerala Governor Arif Khan) সাথে দেখা করেন। এবং আদি শঙ্করের (Adi Shankara) জন্মস্থানকে একটি পবিত্র স্থান এবং জাতীয় গুরুত্বের স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে ঘোষণা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি কেরলের রাজ্যপালের সঙ্গে। রাজ্যপাল তাঁকে সমস্ত সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ দ্রষ্টা এবং পুনর্জাগরণকারীর আদি শঙ্করকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়ে NMA-এর প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন।
তরুণ বিজয় বলেছেন যে তিনি দুই দিন আগে জায়গাটি পরিদর্শন করেছিলেন এবং আদি শঙ্করের জন্মস্থানের তাৎপর্য সম্পর্কে একটি বিশদ প্রতিবেদন তৈরি করবেন। এটি গত শতাব্দীতে আদি শঙ্কর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত শ্রেঞ্জরি পীথামের তৎকালীন শঙ্করাচার্য দ্বারা পুনরায় আবিষ্কৃত হয়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেদারনাথ মন্দির অঞ্চলে আদি শঙ্করের একটি মূর্তি উন্মোচন করেছেন।
রাজ্যপাল আরিফ খানও নম্রতা এবং ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের একটি উদাহরণ তৈরি করেছিলেন যখন একটি হুইল চেয়ার তরুণ বিজয়, পায়ে আঘাতের পরে সুস্থ হয়েছিলেন, তার গাড়ি পর্যন্ত তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তার হুইলচেয়ারটি নিজে চালাতে সাহায্য করেছিল৷
আদি শঙ্কর ছিলেন একজন ভারতীয় দার্শনিক। ভারতীয় দর্শনের অদ্বৈত বেদান্ত নামের শাখাটি তাঁর হাত ধরেই প্রকাশ পেয়েছিল। তাঁর শিক্ষার মূল কথাই ছিল আত্ম ও ব্রহ্মের মিলন। তঁর মতে ব্রহ্ম হল নির্গুণ। বর্তমানে কেলরের কালাডি গ্রেমে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। গোটা পরিভ্রমণ করেছিলেন। তৎকালীন দার্শনিকদের সঙ্গে আলোচনা করে নিজের মতামত প্রচার করতেন তিনি। চারটি মঠও তৈরি করেছিলেন তিনি। সেখান থেকেই বেদান্ত দর্শন ছড়িয়ে পড়ে। আদি শঙ্কর অদ্বৈত বেদান্ত দর্শনের প্রথম প্রবক্তা ছিলেন। সংস্কৃত ভাষায় লেখা আদি শঙ্করের বইতের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল অদ্বৈত তত্ত্বের প্রচার। প্রচলিত মত অনুসারে শঙ্কর বিজয়ম নামের বইতে তাঁর জীবনগাথা লেখা রয়েছে। হিন্দু পরিবারের জন্ম গ্রহণ করেছিলেন তিনি।
তরুণ বিজয় লেখক হিসেবে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের সাপ্তাহিত সংবাদপত্র পাঞ্চজন্যর সম্পাদক ছিলেন। রাজ্য সভার সদস্য হিসেবেই দায়িত্ব পারল করছেন তিনি।