করোনাভাইরাসের সন্ধান দিতে টাটার 'ফেলুদা'কে ছাড়পত্র কেন্দ্রের, বাঁচবে খরচ আর সময়

  • এবার থেকে করোনাভাইরাসের সন্ধান দেবে ফেলুদা
  • দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে এই টেস্ট পদ্ধতি
  • বাঁচবে সময় আর খরচ
  • শনিবারই ছাড়পত্র দিয়েছে ডিসিজিআই 

Asianet News Bangla | Published : Sep 20, 2020 3:29 AM IST

করোনাভাইরাসের পরীক্ষার জন্য এবার অনুমোদন পেলে টাটা গোষ্ঠীর 'ফেলুদা'। শনিবার ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনালের অনুমোদন দিয়েছে টাটা গোষ্ঠীকে। এটি ভারতের প্রথম সিআরআইএসপিআর অর্থাৎ ক্লাস্টার্ড রেগুলারলি ইন্টারস্পেড শর্ট প্যালিনড্রমিক রিপিটস করোনাভাইরাস টেস্ট। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে হচ্ছে এই করোনাভাইরাস টেস্ট। ডিসিজিআই এর অনুমোদনের পর এবার বাণিজ্যিক ভাবে এই পরীক্ষা করতে পারবে টাটা গোষ্ঠী। 

এই পরীক্ষাটি সার্স কোভ-২ ভাইরাসের জিনোমিক সিকোয়েন্স শনাক্তকরণে সহায্য করবে। মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে ট্র্যাডিশনাল আরটি-পিসিআর টেস্টের মতোই নির্ভুল ভাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষার যোগ্যাতা অর্জন করেছে টাটার ফেলুদা। তবে আরটি-পিসিরা টেস্টের থেকে এটি অনেকটাই এগিয়ে। কারণ এই পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যাবে অনেক দ্রুত। আরটি পিসিআর টেস্টে যেখানে সময় লাগে ৪ ঘণ্টা সেখানে ফেলুদা মাত্র ১ ঘণ্টাতেই করোনাভাইরাসের সন্ধান দেবে।  আর সেই সঙ্গে এই পরীক্ষার খরচও অনেকটা কম। সংস্থার দুই বিজ্ঞানীর দাবি ৪০০-৫০০ টাকা খরত পড়বে এই পরীক্ষার জন্য। 

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের পরীক্ষায় রীতিমত ভালো নম্বর নিয়ে পাশ করেছে টাটার ফেলুদা। কারণ এটি শনাক্তকরণের জন্য ৯৬ শতাংশ সংবেদনশীল আর ৯৮ শতাংশ নির্দিষ্টতা দেয়। আইসিএমআর এই টেস্টকে ভবিষ্যতের প্রযুক্তি বলে উল্লেখ করেছে। আগামী দিনে অন্যান্য পরীক্ষার ক্ষেত্রেও এটি সহায়ক হতে পারে বলে জানান হয়েছে।

করোনাভাইরাস পরীক্ষার দেশীয় প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন দুই বাঙালি বিজ্ঞানী দেবজ্যোতি চক্রবর্তী আর সৌভিক মাইতি। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, করোনাভাইরাসের আরএনএ-কে প্রথমে ডিএনএ-তে বদলে ফেলা হবে। তারপর পলিমারেজ চেম রি-অ্যাকশান বা পিসিআর যন্ত্রের মাধ্যমে একটি ডিএনয়এ থেকে একাধিক কপি ডিএনএ তৈরি করা হবে। তারপর ক্রিসপার ক্যাস-৯ বলে ব্যাকটেরিয়া প্রোটিনের সঙ্গে সংযুক্তি ঘটনারো হবে। যা ভাইরাল ডিএনএ-কে চিহ্নিত করে সাহায্য করবে। এরপর কাগজের স্ট্রিপে ফেলা হবে সংগৃহীত ব্যক্তির লালারস। প্রথমে স্ট্রিপে একটি দাগ ফুটে উঠবে। যা বিজ্ঞানের পরিভাষায় কন্ট্রোল লাইন। দ্বিতীয় একটি দাগ থাকবে। সেটির নাম টেস্ট লাইন। এখানে দাগ ফুটে উঠবে বুঝতে হবে সংশ্লষ্ট ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। 
 

Share this article
click me!