জঙ্গলের মধ্যে তারা মাতৃহারা। আর এমনই জন্তু-জানোয়ারদের লালন-পালন করে বড় করে তোলাটাই কাজ মাহুত দম্পতি পুম্মান ও বেল্লির। বোম্মান-বেল্লি ও এই হস্তিশাবকদের মধ্যেকার সম্পর্ক নিয়ে হয় তথ্যচিত্র দ্য এলিফ্যান্স হুইস্পারস |
স্নেহ! এ এমন এক শব্দ ও স্পর্শ এবং অনুভূতি যার ভাব ও ভাষা সকলেই বোঝে। যার জন্য এক জন্তু-র সঙ্গে মানুষের আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হতেও কোনও বাধা হয় না। এমনই এক অনন্য সম্পর্কের কথা নিয়ে গড়ে উঠেছে তথ্যচিত্র দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারস। যার কাহিনির পটভূমি মুদুমালাই রিজার্ভ ফরেস্ট। দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারস-এর পরিচালক কার্তিকি গঞ্জালভেস। যার তথ্যচিত্রে স্থান পেয়েছে এক মাহুত দম্পতি এবং তাদের সঙ্গে থাকা দুই হস্তিশাবককের। এদের মধ্যে এক হস্তিশাবকের নাম রঘু। অন্যজনের নাম বোম্মি। ২০১৮ সালে রঘু ও বোম্মি জঙ্গলের মধ্যে মা-এর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। শেষমেশ মৃত্যুমুখী দুই হস্তিশাবককে বাঁচিয়ে তোলে বোম্মান ও বেল্লির-র অপরিসীম স্নেহ ও পরিচর্যা। দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারের বাস্তবের কাহিনি-কে প্রত্যক্ষ করেছেন মুদুমালাই রিজার্ভ ফরেস্টের বাসিন্দারা। অস্কার জয়ে সকলেই এখন আনন্দিত। সকলের মুখেই এখন বোম্মান ও তাঁর স্ত্রী বেল্লি এবং রঘু ও বোম্মি-র কথা। মানুষ ও জন্তুর সম্পর্ক যে অপর্ত্য স্নেহে এতটা অপরিহার্য হয়ে উঠতে পারে তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন তথ্যচিত্র নির্মাতা কার্তিকি গঞ্জালভেস।