যোশীমঠের তলা দিয়ে কোনও টানেল নির্মাণ করা হয়নি, কেন্দ্রকে দেওয়া চিঠিতে সাফ জানিয়ে দিল এনটিপিসি

১০ জানুয়ারি এনটিপিসিকে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় বিদ্যুৎমন্ত্রক। পরের দিনই অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রকে জবাব দেয় এনটিপিসি। সূত্রের খবর এনটিপিসির চিঠিতে জানানো হয়েছে যোশীমঠের তলা দিয়ে কোনও টানেল নির্মাণ করা হয়নি।

Web Desk - ANB | Published : Jan 13, 2023 12:05 PM IST

যশীমঠের বিপর্যয়ের দায়ে অস্বীকার করল ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন। যশীমঠের ধসের জন্য প্রথম থেকেই কাঠগোড়ায় তোলা হয়েছিল তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পকে। পাহাড় ফাটিয়ে টানেল তৈরির জেরেই তলীয়ে যাচ্ছে যশীমঠ, এমনটাই দাবি করা হয় স্থানীয় মানুষ ও পরিবেশবিদদের একাংশের তরফে। তবোবন বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে মাটির তলায় ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ সুরঙ্গ তৈরি করা হয়েছিল। এরপরই যশীমঠের ক্রমশ তলীয়ে যাওয়ার ঘটনা সামনে আসে। এরপরই ১০ জানুয়ারি এনটিপিসিকে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় বিদ্যুৎমন্ত্রক। পরের দিনই অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রকে জবাব দেয় এনটিপিসি। সূত্রের খবর এনটিপিসির চিঠিতে জানানো হয়েছে যোশীমঠের তলা দিয়ে কোনও টানেল নির্মাণ করা হয়নি।

সূত্রের খবর বিদ্যুৎ মন্ত্রককে দেওয়া চিঠিতে দাবি সরাসরি খারিজ করে এনটিপিসি। ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তবোবন বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে ১২ কিলোমিটার লম্বা যে টানেল তৈরি করা হয়েছিল, তা যোশীমঠ থেকে অন্তত এক কিলোমিটার দূরে। তাছাড়া টানেলটি মাটির কমপক্ষে এক কিলোমিটার গভীরে খনন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইসরোর প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে গত ১২ দিন ধরেই শুরু হয়ে গিয়েছে যোশীমঠের ধসে যাওয়ার প্রক্রিয়া। যে দিকে পরিস্থিতি এগোচ্ছে তাতে যশীমঠকে বাঁচানোর আর বিশেষ সম্ভাবনা দেখছেন না বিশেষজ্ঞরাও। ক্রমেই বসে যাচ্ছে যশীমঠের রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, দোকানপাট। ভবিষ্যতে মানচিত্র থেকে সম্পূর্ণভাবে মুছে যাবে এই জনপদ। সূত্রের খবর গত ১২ দিনে ৫.৪ সেন্টিমিটার বসে গিয়েছে যোশীমঠ। ইসরোর ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারের প্রকাশিত একটি স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই যশীমঠের ধসের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। উপগ্রহ চিত্র অনুযায়ী ২৭ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারির মধ্যেই ৫.৪ সেন্টিমিটার বসে গিয়েছিল যশীমঠের মাটি। গত ৫ জানুয়ারি থেকেই যশীমঠের ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। দ্রুত বিপজ্জনক বাড়ি ও হোটেলগুলিকে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তও হয়েছিল। এরপরই সামনে আসে ইসরোর এই উপগ্রহ চিত্র। এই চিত্র পর্যালোচনা করে ইসরোর পক্ষ থেকে প্রকাশিত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ভবিষ্যতে গোটা জনপদটিই মুছে যেতে বসেছে মানচিত্র থেকে।

আরও পড়ুন - 

ভারতের মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে যোশীমঠ, ইসরোর রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

'ভারতের পর্যটনকে এক কথায় ব্যখ্যা করা সম্ভব নয়', গঙ্গা বিলাসের উদ্বোধনে মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর

১২৮টিরও বেশি ওষুধের দাম বেঁধে দিল এনপিপিএ, জানুন সস্তা হতে পারে কোন কোন ওষুধ

Share this article
click me!