জানেন কি, এ বছর নোটবন্দির একশো বছর পূর্তি হচ্ছে এদেশে

  • ১০০ বছর আগে প্রথম নোটবন্দি হয়েছিল এদেশে
  • হায়দরাবাদের নিজাম একটাকার নোট বাতিল করেছিলেন
  • একটাকার সেই নোটের ছিল কালো রং, যার ফলে সংস্কার কাজ করে
  • তাছাড়া বাজারে তখন চলছিল  একটাকার রুপোর কয়েন

Sabuj Calcutta | Published : Feb 2, 2020 12:18 PM IST

হায়দরাবাদের নিজাম আর নরেন্দ্র মোদীর মধ্য়ে মিল কোথায় বলুন তো? দুজনেরই নাম এদেশের নোটবাতিলের ইতিহাসের সঙ্গে রয়ে গিয়েছেনগল্প হলেও সত্য়িএদেশে প্রথম সরকারিভাবে নোটবাতিল করেন হায়দরাবাদের নিজামআজ থেকে ১০০ বছর আগে১৯২০ সালে

কী ঘটেছিল সেই সময়ে?

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলছে বাজারে তখন ধাতুর আকাল বিশেষ করে রুপো তো পাওয়াই যাচ্ছে না এমতাবস্থায় হায়দরাবাদের নিজাম ঠিক করলেন যে, কাগজের নোট বার করতে হবে সেই মতো ১০১৮ সালে বেরোল দশটাকা ও একশো টাকার নোট আর তার ঠিক পরের বছরই বেরলো একটাকার নোট 

যদিও  সরকারের প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও নতুন একটাকার নোটের কোনও গ্রহীতা ছিল না কারণ ছিল একাধিক প্রথমত,  বাজারে যে একটাকার রুপোর কয়েনের চল ছিল, তার একটা সহজাত মূল্য় ছিলকারণ তাতে ছিল রুপোনতুন নোট সেসব কিছুই নেই তাছাড়া নতুন একটাকার নোটে কালো রঙের আধিক্য় ছিল যার সঙ্গে কুসংস্কার জড়িয়ে ছিল তখন সবমিলিয়ে নতুন এককাটার নোটের সেভাবে কোনও গ্রহীতা ছিল না তাই চালু করার এক বছরের মধ্য়েই ওই নোট বাতিল করতে একপ্রকার বাধ্য় হন নিজাম আধুনিক ভারতের ইতিহাসে সেবারই প্রথম নোটবাতিল হয়

নিউমিসম্য়াটিস্ট অমরবীর সিং জানান, সেই সময়ে প্রিন্সলি স্টেট হিসেবে পরিচিত ছিল হায়দরাবাদ ব্রিটিশ সরকার ওই সময়ে নিজামের হাতে নিজেদের মুদ্রা তৈরি করার ক্ষমতা দেয় তাঁর কথায়, "প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে বিভিন্ন ধাতুর আকাল দেখা যায় বিশেষ করে রুপোর হায়দরাবাদ তখন কয়েন তৈরি করতে গিয়ে বেশ মুশকিলে পড়ে এদিকে বাজারে চাহিদা অনুযায়ী মুদ্রার জোগান দিতে হবে এমতাবস্থায় তারা নোট ছাপানোর কথা ভাবে আর এর জেরেই তৈরি হয় হায়দরাবাদ কারেন্সি অ্য়াক্ট, ১৯১৭-১৮যা সপ্তম নিজাম  মির ওসমান আলি খানের সম্মতি পেয়েছিল ৪ জুন, ১০১৮ সালে"

১৯২০ থেকে ২০২০ এবছর তাই নোটবন্দির একশো বছর পূর্তি এদেশে

Share this article
click me!