আত্মনির্ভর ভারত থেকে স্বচ্ছ ভারত অভিযান, বছরের শেষ 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে সেরা ১০ বার্তা মোদীর

  • বছরের শেষ মন কি বাত অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী 
  • আত্মনির্ভর ভারত অভাযানের পক্ষে সওয়াল 
  • স্বচ্ছ ভারত গঠনের কথা বলেন তিনি 
  • করোনা যোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি  

Asianet News Bangla | Published : Dec 27, 2020 6:46 AM IST / Updated: Dec 27 2020, 12:45 PM IST

বছরের শেষ 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে করোনাভাইরাস জনিত মহামারী থেকে শুরু করে আত্মনির্ভর ভারত, স্বচ্ছ ভারত প্রকল্প-সহ একাধিক ইস্যুতে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৭২তম 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে প্রায় আধ ঘণ্টা বক্তব্য রাখেন তিনি। তবে দিল্লি উপকষণ্ঠে চলা কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে একটিও বাক্য খরচ করেননি তিনি। এক নজরে এবার দেখে নিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে আলোচনা মুখ্য বিষয়গুলি। 


'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দেন কীভাবে আত্ননির্ভর ভারত গঠনের দিকে এদিয়ে যাচ্ছে ভারত। এক নাগরিরেক লেখা চিঠির প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেন, আগে দামি খেলনা মানেই মনে করা হত বিদেশি খেলনা। কিন্তু এখন ক্রেতা বিক্রিতে সকলেই দামি খেলনা মানে হিসেবে ভারতীয় খেলনা করদ করতে শুরু করেছে। আগামী দিনেই দেশবাসীর কাছে এই ধারা বজায় রাখার কথা বলেন তিনি। 


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন দেশীয় উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মানের দিকে নজর রাখা অত্যান্ত জরুরি। কারণ তা না হলে বিশ্বের দরবারে লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়বে ভারত। 


এদিন 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে শিখ ধর্মগুরুদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে উল্লেখ করেছেন তাঁদের বীরত্বের কথা। 


২০১৪-২০১৮ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা গেছে ৬০ শতাংশ বেড়েছে চিতা বঘের সংখ্যা। দেশের বেশিভাগ বনাঞ্চলেই পশু সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 


শুধু পশুপাখি নয় দেশে বঞ্চালের সংখ্যাও বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তার কৃতিত্ব তিনি দিয়েছেন দেশের সাধারণ মানুষকে। 


বছরের শেষ 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানেও স্বচ্ছ ভারত অভিযানের কথা তুলে ধেরেন। কথা প্রসঙ্গে এক মহিলা ও কর্ণাটকের এক দম্পতির কথা তুলে ধরেন। যাঁরা নিজেদের উদ্যোগেই সমুদ্র তীর ও পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্র পরিষ্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। 


চলতি বছর কাশ্মীরের কেশর GI ট্যাগ পেয়েছে। আর এই ট্যাগের কারণে স্থানীয় কৃষকরা উপকৃত হবেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। তিনি বলেন ইতিমধ্যেই কাশ্মীরের কেশর লঞ্চ করছে দুবাইয়ের একটি সুপার মার্কেট। 


করোনাভাইরাস সংক্রান্ত মহামারির সঙ্গে লড়াই করছে দেশ। আর সেই সময়ই অনলাইন ক্লাসের ওপরই ভরসা রেখেছেন দেশের শক্ষক শিক্ষিকারা। তারজন্য তাঁরা একাধিক অভিনব পদ্ধতিও গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আগামী দিনে সেই প্রথ্যা অব্যাহত রাখার কথাও বলেন তিনি। 


দেশের যুব সমাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, ভারতীয় যুবকদের ক্যান ডু , উইল ডু মানসিকতা তাঁকে এখনও লড়াইয়ের ময়দানে থাকার শক্তি যোগায়। 


আগামী বছরের জন্য দেশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে দেশের করোনা যোদ্ধাদের স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। 


 

Share this article
click me!