শনিবার সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার রায় দেয়। পাঁচ বিচারপতি একটি বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে এই রায় দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের পাশাপাশি ছিলেন বিচারপতি এসএ বোবডে, বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি এস আবদুল নাজির। ৪০ দিন শুনানি হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট এই রায় ঘোষণা করেছে। এক নজরে অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার রায়ের ১০টি উল্লখযোগ্য দিকে নজরপাত করা হল।
১. সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি রামলালাকে দিয়েছেন। সেখানেই তৈরি হবে রাম মন্দির।
২. সুপ্রিম কোর্ট উত্তরপ্রদেশের সরকার ও কেন্দ্র সরকারকে মুসলিমদের জন্য পাঁচ একর জমি দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। সেখানেই তৈরি হবে মসজিদ।
৩. আদালত ট্রাস্ট তৈরির বিষয়ে কেন্দ্রকে নির্মোহী আখড়াকে প্রতিনিধিত্ব দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে বলেছেনয নির্মোহী আখড়া ছিলেন অযোধ্যার জমি বিতর্ক মামলায় তৃতীয় পক্ষ।
৪. সুপ্রিম কোর্ট নির্মোহী আখাড়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। নির্মোহী আখড়া অযোধ্যার বিতর্কিত জমি নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে চেয়েছিলেন।
৫. সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে তিন মাসের মধ্যে মন্দির গঠনের ট্রাস্ট প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছে। অযোধ্যার বিতর্কিত অঞ্চলে ছিল বাবরি মসজিদ। সেখানেই রাম মন্দির হবে।
৬. সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জানানো হয়েছে, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া খননে মসজিদের আগে অন্য কোনও স্থাপত্যের প্রমাণ পেয়েছে। তবে সেখানে কোনও ইসলামিক স্থাপত্য ছিল না।
৭. শনিবার সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়, হিন্দুরা মনে করেন, অযোধ্যার ওই বিতর্কিত অঞ্চলেই ভগবান রামের জন্মস্থান ছিল। অন্য দিকে, ইসলামধর্মাবলম্বী সেখানে বারবি মসজিদ পুনর্নিমাণের দাবি করেন।
৮. সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, হিন্দুদের বিশ্বাস অনুযায়ী রামের জন্মভূমি অযোধ্যার ওই বিতর্কিত অঞ্চল। সেখানে তাই মন্দির ও মসজিদ একসঙ্গে থাকতে পারে না।
৯. সুপ্রিম কোর্ট আরও বলে, ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা আইন বিরুদ্ধ কাজ।
১০. সুপ্রিম কোর্টের রায়দানের সময় জানিয়েছে, সুন্নি ওয়াকফ অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলায় নিজেদের দাবি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে, হিন্দুরা এই মামলায় নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে।
শনিবার সকালেই মামলার রায় নিয়েই অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের আধিকারিকরা। মামলার রায়দানের পর মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের আইনজীবী জারাইয়াব জিলানি জানান, 'সুপ্রিম কোর্টের রায়কে আমরা সম্মান করি। কিন্তু রায় সন্তোষজনক নয়। কমিটি যদি অনুমোদন করে, তাহলে আমরা রিভিউ পিটিশন দাখিল করব।'