কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রামদাস অটওয়ালকে নিয়ে ট্যুইট করেছিলেন শশী থারুর। সেখানে দুটি ইংরাজি বানান ভুল করে ফেলেন তিনি। তারপরই শশী থারুরের সঙ্গে রামদাসের ট্যুইটারে শুরু হয় ট্যুইটারি বাকযুদ্ধ।
নেতাদের মধ্যে তাহলে শুধু রাজনৈতিক চর্চা বা মতোবিরোধই নয়, খাট্টা মিঠা দুষ্টুমিও চলে....অন্তত কংগ্রেস সাংসদ (Congress MLA) শশী থারুর (Shashi Tharoor) আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Central Minister) রামদাস অটওয়ালের (Ramdas Athawale) ট্যুইট যুদ্ধ কিন্তু সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। ইংরাজি কম জানা ব্যক্তি যখন কোনও ভুল ইংরাজি বলে তখন বিপরীতে থাকা ইংরাজিতে দক্ষ ব্যক্তিটি তাঁকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করে থাকে। এবার সেই রকমই ঘটনা ঘটল দুই নেতার মধ্যে। তবে পার্কথ্য একটাই যে এখানে ইংরাজি না জানা বিষয়টি নয়, বিষয়টা হল এরর মিসটেক। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর (Shashi Tharoor) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস অটওয়ালকে (Ramdas Athawale) নিয়ে একটি মজার ট্যুইট করেছিলেন। আর সেখানেই ঘটল বিপত্তি। বেশ কিছু ইংরাজি শব্দের এরর মিসটেক করেছিলেন তিনি। যেমন- বাজেট আর রিপ্লাই-এই দুটো বানান একটু ভুল লিখে ফেলেন কংগ্রেস সাংসদ। ব্যাস, তারপরই সেই ভুলকে হাতিয়ার করে শশী থারুরকে (Shashi Tharoor) একহাত নিয়েছেন রামদাস। পাল্টা ট্যুইটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁকে কটাক্ষ করে বলেছেন, বাজে ইংরাজি বলার থেকেও বেশি পাপ বানান ভুলে। আপনার টিউশনিটা জেনইউ-এর একজনের কাজে লাগতে পারে। এরপর শাশী থারুর (Shashi Tharoor) নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে আবার টুইট করে বলেন যে, ওটা তাঁর বুড়ো আঙুলের দোষ।
ঘটনার সুত্রপাত, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেটের দিন। সেই দিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের (Nirmala Shitaraman) বাজেট বক্তৃতার শেষে রামদাস অটওয়ালের (Ramdas Athawale) এক বিস্ফারিত চোখ-মুখের এক্সপ্রেশনের স্ক্রিনশট দিয়ে শশী থারুর লেখেন এতক্ষণ বাজেট পড়ার পর রামদাস অটওয়ালের (Ramdas Athawale) চোখ মুখ ছিল দেখার মতো। সেই লেখা লিখতে গিয়েই দুটো বানান ভুল করে ফেলেন কংগ্রেস সাংসদ। তারপর ট্যুইট আর পাল্টা ট্যুইটে একে অপরকে আক্রমণ করতে থাকেন। সোশ্যাল সাইট ট্যুইটারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস অটওয়ালের সঙ্গে শশী থারুরের (Shashi Tharoor) শুরু হয় বাকযুদ্ধ। অনেক টুইটারিরা শশী থারুকে ((Shashi Tharoor) নানাভাবে আক্রমণও করছে এবং তাঁকে পাল্টা টুইট করে উত্তরও দিয়েছেন। এদের মধ্যে সিংহভাগই রামদাসের পিছনে লাগার জন্য শশীকে ট্রোল করেছে।
আরও পড়ুন-মমতার সব স্লোগানকে ছাপিয়ে গেল 'খেলা হবে', যোগী রাজ্যেও কী পাবে সাফল্য
আরও পড়ুন-'অশ্বথামা শুধুমাত্র একটি হাতি', কেরলের সোনা পাচার নিয়ে বইল IAS M Sivashankar-র
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার লোকসভায় ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেট সংক্রান্ত আলোচনা করছিলেন। আর সেই আলোচনায় ২০০৮ সালের প্রসঙ্গ টেনে অর্থমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ইউপিএ-এর থেকে আর্থিক সমস্যা মেটাতে অনেক বেশী সক্ষম হয়েছিল। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের আর্থিক মন্দার জেরে ভারতের মোট লাভের ওপর জিডিপি ২.২১ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছিল। আর বর্তমানের নড়বড় অর্থনৈতিক পরিকাঠামোয় জিডিপি হ্রাস পেয়েছে ৯.৫৭ লাখ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেন, সরবরাহ ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটার দরুণ ২০২০-২১ সালে মুদ্রাস্ফিতীর হার ছিল ৬.২ শতাংশ যেখানে ২০০৮-০৯ সালে মুদ্রাস্ফিতীর হার ছিল ৯.১ শতাংশ।