কৃষক আন্দোলন ইস্যুতে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় জায়েন্ট টুইটারকে কড়া নোটিশ পাঠাল কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের আদেশ যদি টুইটার না মানে তাহলে সোশ্যাল মিডিয়াটির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কৃষক বিক্ষোভ সম্পর্কিত আপত্তিজনক হ্যাশট্যাগ গুলি মুছে ফেলারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার 'কৃষক গণহত্যা' সম্পর্কিত হ্যাসট্যাগ দিয়ে টুইট করা বা রি-টুইট করা ও উস্কানিমূলক টুইট করার জন্য প্রায় ২৫০ বেশি অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছে। সরকার জোর দিয়ে বলেছে যে, হ্যাশট্যাগের অসহিষ্ণু ব্যবহার সমাজে নির্যাতন, স্ফীত ও উত্তেজনার তৈরি করতে পারে। গণহত্যা চালানোর উক্তি বাকস্বাধীনতা নয়। এটি দেশীয় আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে একটি হুমকি স্বরূপ। আর সেই কারণ দেখিয়ে কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত আড়াই জনের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার। টুইটারকে কেন্দ্রীয় সরকার আইনি নোটিশ পাঠানোর পরই সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট গুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়েন্ট আদালের ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে না। টুইটার একজন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কর্তৃপক্ষের সন্তুষ্টির অনুযায়ী নির্দশ মানতে বাধ্য। টুইটারকে কেন্দ্রীয় সরকার যে নোটিশ পাঠিয়েছে তাতে পাব্লিক অর্ডার ও কর্তৃপক্ষের অধিকার নিয়ে এক ডজনেরও বেশি সুপ্রিম কোর্টের রায়কে উদ্ধৃত করেছে। আর সেখানেই মোদী প্ল্যানিং ফার্মার জেনোসাইড হ্যাশট্যাগ ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে।
কৃষক আন্দোলন নিয়ে রিহানা-কঙ্গনার তরজা সোশ্যাল মিডিয়ায়, 'দুর্ভাগ্যজনক' বলল বিদেশ মন্ত্রক ...
কৃষক মহাপঞ্চায়েতে ধরাশায়ী কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত, দেখে নিনি স্টেজ ভেঙে পড়ার ভিডিও ...
অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষকদের প্যারেড থেকে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল তাতে হস্তক্ষেপ করবে না। প্রধানবিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন আইন আইনের পথেই চলবে। এক্ষেত্রে তারাও সেই পথটি মেনে নিয়েছে। তদন্ত যখন হচ্ছে তখন তা চলুক। তাতে হস্তক্ষেপ করা হবে না বলেও জানিয়ছে শীর্ষ আদালত। আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে এখন দেখার একতরফা তদন্ত যেন না হয়। যদিও সুপ্রিম কোর্ট সেই বিষয় কোনও মন্তব্য করেনি।