এই ঘটনার সূত্রপাত রাহুল গান্ধীর একটি টুইট থেকে
সেই টুইটকে প্রোপাগান্ডা বলেছিলেন অমিত মালব্য
বাস্তব বলে দাবি করে পোস্ট করেছিলেন ঘটনার ভিডিও
সেই ভিডিও নিয়েই বুধবার টুইটার কর্তৃপক্ষের থেকে ধাক্কা খেলেন অমিত
বুধবার টুইটার কর্তৃপক্ষের থেকে বড় ধাক্কা খেলেন বিজেপি আইটি সেলের ইনচার্জ অমিত মালব্য। দিন কয়েক আগেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে 'ভারতের বিরোধী নেতাদের মধ্যে অন্যতম নিন্দিত' বলে কটাক্ষ করে, একটি প্রবীণ কৃষক আন্দোলনকারীর দিকে পুলিশের লাঠি চালানোর একটি ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করেছিলেন অমিত। এদিন টুইটার সংস্থার পক্ষ থেকে ওই ভিডিওকে 'ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া' বলে দেগে দেওয়া হয়েছে, অর্থাৎ ওই ভিডিওয় কারসাজী করা হয়েছে।
গত ২৮ নভেম্বর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ওই প্রবীন কৃষকের উপর নিরাপত্তা বাহিনীর লাঠি চালানোর একটি ছবি পোস্ট করে হিন্দিতে লিখেছিলেন ছবিটা অত্যন্ত দুঃখজনক। কারণ ভারতের স্লোগান হল 'জয় জওয়ান, জয় কিষাণ'। কিন্তু মৌদী সরকারের ঔদ্ধত্যের ফলে এখন কিষাণ এবং জওয়ানরা পরস্পর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। এই প্রবণতা 'খুব বিপজ্জনক' বলেও দাবি করেছিলেন রাহুল।
সেই টুইটটি 'প্রোপাগান্ডা'মূলক বলে নস্যাত করেই ওই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন অমিত মালব্য। দাবি করেছিলেন, ওই পুলিশকর্মী প্রবীন কৃষককে স্পর্শও করেননি। সেইসঙ্গে বলেছিলেন, বিগত দীর্ঘ সময়ের মধ্যে রাহুল গান্ধীই সবচেয়ে নিন্দিত বিরোধী নেতা। তবে, অমিত মালব্যের ভিডিও পোস্ট করার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ঘটনার আরও বেশ কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশিত হয়েছিল। যাতে দেখা গিয়েছে, দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে আন্দোলন করতে গিয়ে কৃষকরা আধা সামরিক বাহিনীর হাতে মার খেয়েছে।
এরপরই, এদিন টুইটার কর্তৃপক্ষ ভিডিওটিতে কারসাজী করা হয়েছে বলে দাগিয়ে দিল। সংস্থার এই বিষয়ক নীতি অনুসারে, পোস্ট করা ভিডিও বা ছবির বিষয়বস্তুতে 'যদি উল্লেখযোগ্যভাবে এবং প্রতারণামূলকভাবে হেরফের ঘটানো হয় বা মনগড়াভাবে তৈরি করা হয়, এবং তা যদি প্রতারণার উদ্দেশ্যে শেয়ার করা হয়, বা জনসাধারণের নিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটায় তবে সেগুলিকে এইভাবে দাগিয়ে দেওয়া হয়। অনেকক্ষেত্রে প্রয়োজন বুঝলে সেই পোস্ট তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়েও দেয় টুইটার।