কেন্দ্রীয় সরকারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বাড়াতে চাইছে। করোনাভাইরাসের পরবর্তী সময় দেশে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে লড়াই করছে ভারত। এই অবস্থায় রাশিয়া থেকে যদি সস্তা দরে তেল পাওয়া যায় তাতে আদতে লাভ হবে ভারতীয় অর্থনীতি।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের (Russia-Ukraine War) বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (US Prsicent Joe Biden) যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করছে তা শুধু চিন (China) নয় ভারতের (India) মত দেশের কাছেও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমের দেশগুলির পাশাপাশি আমেরিকাও একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পাশাপাশি বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে তারা রাশিয়ার থেকে তেল (Fuel) আমদানি বন্ধ করেছে। অন্যদিকে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ এই অবস্থায় রাশিয়ান তেল আমদানি কমানোর লক্ষ্যে পদক্ষেপ করেছে। কিন্তু এই অবস্থায় রাশিার পাশে দাঁড়িয়ে সেই দেশ থেকে তেল আমদামি করতে চলেছে ভারতে। অনেকেই মনে করছে ভারতের এই সিদ্ধান্ত বাইডেন প্রশানসের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেবে ভারতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় সরকারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বাড়াতে চাইছে। করোনাভাইরাসের পরবর্তী সময় দেশে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে লড়াই করছে ভারত। এই অবস্থায় রাশিয়া থেকে যদি সস্তা দরে তেল পাওয়া যায় তাতে আদতে লাভ হবে ভারতীয় অর্থনীতি। তাই রাশিয়ার থেকে আরও বেশি পরিমাণে জ্বালানি তেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারত রাশিয়ার থেকে সর্বশেষ প্রায় ৩০ লক্ষ ব্যারেল তেল ক্রয় করেছিল।
তবে এই পদক্ষেপ শুধু ভারতই নিচ্ছে এমনটা নয়। কারণ ইউরোপের মিত্র দেশ হিসেবে পরিচিত জার্মানি এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করেনি। তবে মার্কিন ও একাধিক ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলির চাপে কিছুটা হলেও বিধ্বস্ত রাশিয়ার অর্থনীতি। এই অবস্থায় রাশিয়া যদি সস্তাদরে বা ডিসকাউন্ট দিয়ে ভারতকে তেল বিক্রি করতে রাজি হয় তাতে সুবিধে হবে ভারতের।
কিন্তু ভারতের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে নতুন দিল্লিক সম্পর্কে টানাপোড়েন বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও পর্যন্ত সরাসরি কিছুই বলেনি। তবে ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে কিনা না এখনও বিবেচনাধীন রয়েছে। এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন ভারতের ওপর এখনই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে না। তবে ভারত যদি রাশিয়ার থেকে তেল কেন তবে তা হবে ঐতিহাসিক ভূল। কারণ বাইডেন প্রশাসন যুদ্ধের আবহে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ককে অন্যরকমভাবে দেখছে। কারণ বাইডেন প্রশাসন রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরোধিতা করার জন্য চিনের থেকেও ভারতকে বড় অংশীদার হিসেবে দেখছে। ভারত কোয়াড সদস্য। চলতি বছরই ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান -এই চারটি দেশ টোকিওতে মিলিত হবে।
ভারত-মার্কিন সম্পর্কে কাঁটা হিসেবে দীর্ঘ দিন ধরেই রাশিয়া অবস্থান করেছে। বর্তামানে রাশিয়ার সঙ্গে একাধিক যুদ্ধের অস্ত্র কেনার চুক্তি রয়েছে ভারতে। যা আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পছন্দ নয়। তবে এই বিষয়ে ভারতকে সতর্ক করলেও এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও কড়া পদক্ষেপ নেয়নি আমেরিকা। যদিও এখনও পর্যন্ত বাইডেন প্রশাসনের যা অবস্থান তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভারতকে পাশে পেতে চাইছে।
যোগীর শপথে উত্তর প্রদেশে বসতে চলেছে চাঁদের হাট, মোদীর সঙ্গেই মঞ্চে দেখা যেতে পারে সনিয়াকে
রাশিয়ান রকেট হামলা, নিজের বাড়িতে থেকেও মৃত্যু ইউক্রেনের ব্যালে তারকার