বিয়ের প্রতিশ্রুতি না থাকলে কোনও অবিবাহিতার যৌন সম্পর্ক করা উচিত নয়, জানাল হাইকোর্ট

শারীরিক সম্পর্ক কোনও প্রতিশ্রুতি ছাড়া তৈরি হলে, তা সমাজের চোখে অন্যায়। এমনই পর্যবেক্ষণ মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের ইন্দোর বেঞ্চের।

Parna Sengupta | Published : Aug 15, 2021 11:29 AM IST / Updated: Aug 15 2021, 05:24 PM IST

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলে তবেই কোনও অবিবাহিতা মেয়ের (Unmarried girls) কোনও পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক (carnal activities) স্থাপন করা উচিত। নচেত তা করা একদমই ঠিক নয়। শারীরিক সম্পর্ক কোনও প্রতিশ্রুতি ছাড়া তৈরি হলে, তা সমাজের চোখে অন্যায়। এমনই পর্যবেক্ষণ মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের (MP HC) ইন্দোর বেঞ্চের। ইন্দোর বেঞ্চের বিচারপতি সুবোধ অভ্যাঙ্কর জানান কোনও মেয়ে যদি বুঝতে পারে,যে ছেলেটির সঙ্গে সে শারীরিক সম্পর্ক করবে, সে তার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত, তবেই যেন সেই সম্পর্কের দিকে এগোয়। 

বেঞ্চের আরও পর্যবেক্ষণ, "ভারত একটি রক্ষণশীল সমাজ, এটি এখনও সভ্যতার এমন স্তরে (আধুনিক বা নিম্ন) পৌঁছায়নি যেখানে অবিবাহিত মেয়েরা, শুধুমাত্র মজা করার জন্য ছেলেদের সাথে শারীরিক ক্রিয়াকলাপে লিপ্ত হয়, যদি না কিছু ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা পাওয়া যায়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি বা আশ্বাস পেলে তবে শারীরিক সম্পর্কে এগোনো উচিত। 

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে এক মহিলার দায়ের করা মামলার শুনানির সময় আদালত এই রায় দেয়। অভিযুক্তের আইনজীবী অবশ্য যুক্তি দেখিয়েছিলেন যে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সময় মহিলাটি নাবালিকা ছিলেন না এবং যৌন মিলন ছিল সম্মতিপূর্ণ। তাই এক্ষেত্রে ধর্ষণের অভিযোগ অবান্তর। এটাও যুক্তি দেওয়া হয়েছিল যে মেয়ের বাবা -মা তার বিয়ের বিরোধিতা করেছিল কারণ যুবক মুসলিম এবং সে হিন্দু। তবে জানা যায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অভিযুক্ত ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করছিল কিন্তু পরে দাবি করেছিল যে সে ইতিমধ্যেই বিবাহিত।

উভয় পক্ষের যুক্তি শোনার পর আদালত জানায়, যে আসামি জামিনে মুক্তির যোগ্য নয়। আদালত অভিযুক্তের জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যান করে এবং বলে যে মেয়েটি সম্পর্কের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা তাকে সম্পর্কের এই অবনতির পর আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়।

Share this article
click me!