দেশলাই দিয়ে বোমা, ডিপ্লোমাধারী জঙ্গী, উত্তরপ্রদেশ আল কায়দা কেসে বেরোচ্ছে বিস্ফোরক তথ্য

দেশলাই কাঠি থেকে ফসফরাস সংগ্রহ করে তৈরি করছিল বোমা। রবিবার লখনউ থেকে ধৃত আল কায়দা জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদে বের হচ্ছে বিস্ফোরক সব তথ্য।

Asianet News Bangla | Published : Jul 12, 2021 3:10 PM IST / Updated: Jul 12 2021, 08:43 PM IST

রবিবারই, উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড বা এটিএস-এর জালে ধরা পড়েছিল আল-কায়েদা-র সঙ্গে যুক্ত একটি সন্ত্রাসবাদী দল। কাকোরি এলাকা থেকে গ্রেফতার হয়েছিল ওই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর দুই সদস্য। সোমবার তাদের ১৪ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এই কয়েকদিনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আল-কায়য়দার সঙ্গে তাদের সংযোগ সংক্রান্ত অনেক তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছে তদন্তরকারীরা। অবশ্য ইতিমধ্যেই অনেক বিস্ফোরক তথ্য মিলেছে।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে যে, প্রধান অভিযুক্ত মিনহাজ আহমেদ ও মাশিরুদ্দিন ওরফে মুশির প্রায়  দেড় বছর আগে তাদের আল কায়দা হ্যান্ডলারদের সংস্পর্শে এসেছিল। এরমধ্যে মিনহাজ আহমেদ ছিল রীতিমতো সুশিক্ষিত। তার একটি ডিপ্লোমাও ছিল। একসময় তিনি একটি গবেষণাগারে ল্যাব টেকনিশিয়ান হিসাবে কাজ করত, পরে নিজেই একটা ব্যাটারির দোকান খুলে বসেছিল। পাকিস্তান-আফগানিস্তান থেকে আল কায়দা হ্যান্ডলাররা ১৫ অগাস্টের আগে মিনহাজদের, একেবারে নির্দোষ এবং সাধারণভাবে উপলব্ধ উপাদানসমূহ দিয়ে বোমা বানানোর নির্দেশ দিয়েছিল।

Latest Videos

ধৃত আল কায়েদা জঙ্গি মশিরুদ্দিন ও মিনহাজ আহমেদ

কীরকম? একটা উদাহরণ দিলে বোঝা যাবে। রবিবারের অভিযানে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছিল দুটি প্রেসার কুকার বোমা, একটি টাইম বোমা এবং বিশাল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক। সেইসঙ্গে একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি-ও পাওয়া গিয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছিল, বোমা তৈরির জন্য পটাসিয়াম নাইট্রেট এবং ফসফরাস ব্যবহার করা হয়েছে। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, ফসফরাস জোগার করা কঠিন বলে, আল কায়দা হ্যান্ডলাররা, ধত জঙ্গিদের দেশলাই কাঠি থেকে ফসফরাস সংগ্রহ করতে বলেছিল।

আরও পড়ুন - আত্মঘাতী বিস্ফোরণের ছক আল-কায়দার, দুই মাথাকে গ্রেফতার করল উত্তর প্রদেশ পুলিশ

আরও পড়ুন - মৃত্যু আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা-প্রধানের, জঙ্গি দলের নেতৃত্বে এরপর কে

আরও পড়ুন - শুধুমাত্র মুসলমানদের জন্য নয়, এই রাজ্যে হিন্দুদের জন্যও আসছে লাভ জিহাদ আইন

আরও জানা গিয়েছে, পুলিশকে ইতিমধ্যেই অভিযুক্তরা তাদের সঙ্গে জড়িত আরও বেশ কয়েকজন ব্যক্তির নাম-পরিচয় দিয়েছে। এরমধ্যে একজন হলে শাকিল, যে ছিল মিনহাজ ও মুশির-এর তৃতীয় সহযোগী। এই তিনজনকে ১৫ অগাস্টের আগে লখনউ-সহ উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন শহরে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পুলিশের সূত্রটি আরও জানিয়েছে, রবিবার যে বাড়িটি থেকে জঙ্গিদের গ্রেফতার করা হয়, সেই বাড়িটি শাহিদ নামে এক ব্যক্তির। দীর্ঘদিন ধরেই এটিএস এই বাড়িটির দিকে নজর রাখছিল। এই বাড়িতে আসা-যাওয়া করা অনেকেরই কার্যকলাপ ছিল অত্যন্ত সন্দেহজনক। বিশেষ করে ওয়াসিম নামে এক ব্যক্তির উপর কড়া নজর ছিল এটিএস কর্তাদের। এই সকল ব্যক্তির খোঁজ করছে পুলিশ।

Share this article
click me!

Latest Videos

'পুলিশ তৃণমূলের কাউকে টাচ করতেই ভয় পায়' কেন! জানালেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | BJP vs TMC |
৮৭ দিন পার, কবে শেষ হবে তদন্ত! CBI দফতর অভিযানে মহিলারা | RG Kar Protest | RG Kar News Today
'এতদিন আমি মুখ খুলিনি, ফাঁসাচ্ছে, ডিপার্টমেন্ট বলেছে চুপ থাকতে' চিৎকার সঞ্জয়ের | Sanjay Roy RG Kar
Live: আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে তৃণমূলকে তুলোধোনা বিজেপির, দেখুন সরাসরি
'নৈহাটি জিতেই পরিবর্তন শুরু হবে' ঝাঁঝাল বার্তা শান্তনু ঠাকুরের | Shantanu Thakur BJP | Naihati