কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরটি হল দেশের দ্বাদশ জ্যোতিলিঙ্গের মধ্যে অন্যতম। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরেও যান। একই সঙ্গে এই একই দিন কাশীর মন্দিরে গিয়ে বিশ্বনাথের পুজো করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও পুজো দেন কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে।
উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের (UP Elections 2022) সপ্তম দফার (7 phase) ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। কিন্তু শেষ বা সপ্তম দফা নির্বাচনের আগে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Vishwanath Temple) ছিল রাজ্যরাজনীতির কেন্দ্র বিন্দু। ভোট টানতে বিশ্বনাথধামের ওপরই ভরসা রেখেছেন পক্ষ-বিপক্ষ সব দলের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা শীর্ষ নেতৃত্ব।
কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরটি হল দেশের দ্বাদশ জ্যোতিলিঙ্গের মধ্যে অন্যতম। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরেও যান। একই সঙ্গে এই একই দিন কাশীর মন্দিরে গিয়ে বিশ্বনাথের পুজো করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও পুজো দেন কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে।
প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার কাশী মন্দিরে ষোড়শ উপাচারে পুজো করেন। মোদীর কয়েক ঘণ্টা আগে মন্দিরে গিয়েছিলেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা। তাঁরাও নিষ্ঠাভরে পুজো করেন। তারও আগে মন্দিরে গিয়েছিল স্মৃতি ইরানি। শুক্রবার কাশীতেই একটি রোডশোয়ে অংশ নিয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব। তিনিও একই দিনে মন্দিরে পুজো দেন। যদিও অখিলেশ কাশীর মন্দিরে গিয়েছিলেন শুক্রবার রাতে।
অন্যদিকে উত্তর প্রদেশের নির্বাচনে অখিলেশ যাদবকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তিনি বারাণসীতে গিয়েছিলেন ভোট প্রচারে। তিনিও কাশীর মন্দিরে পুজো দেন। নির্বাচনী সফরে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ, রাজনাথ সিংও কাশীর মন্দিরে পুজো দেন। অন্যদিকে ভোট উপলখ্যে কাশীতে দিয়ে বিশ্বনাথ দর্শন করেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথ। তালিকায় রয়েছে অনুরাগ ঠাকুর, অশ্বিনী চৌবে, পুস্কর সিং ধামির নামও।
মন্দিরের পুরোহিতরা নিশ্চিত করেছেন যে উত্তর প্রদেশের নির্বাচন উপলক্ষ্যে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে রাজনীতিবিদদের পরিদর্শন বেড়ে গিয়েছিল। তবে কোনও ভিআইপির কাছ থেকে দক্ষিণা চাওয়া হয় না। এই ভিআইপিরদের যদি কিছু দেওয়ার ইচ্ছে হয় তাহলে তা তাঁরা দানবাক্সে রেখে দেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সপ্তম দফা নির্বাচনের আগে দুই দেশের উত্তর প্রদেশ সফর করেন। যার মধ্যে তিনি দুই দিনই ছিলেন নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতে। সেখানে প্রচারের পাশাপাশি তিনি বারাণসীর বিশিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, তিনি উত্তর প্রদেশের স্থিতিশীল প্রশাসন চান। কারণ স্থিতিশীল সরকারই একমাত্র উন্নয়ন দিতে পারে। শাসনের ধারাবাহিকতাও তিনি চান বলে বিশিষ্টদের জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, প্রশাসন যদি স্থিতিশীল ও ধারাবাহিক হয় তাহলে তা জবাবদেহিতা নিশ্চিত করে। তিনি আরও বলেন সরকার যদি স্থিতিশীল হয় তাহলে তা সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে বাধ্য থাকে। যা কেন্দ্রের ক্ষেত্রে হয়েছে। দেশের মানুষ স্থিতিশীল ও ধারাবাহিক সরকার চেয়েছে, তাই তিনি উন্নয়ন করতে পারছেন। একই জিনিস চায় উত্তর প্রদেশ।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বারাণসীর বিশিষ্টদের সঙ্গে দেখা করার সময়ই উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে বিজেপির প্রধান দুই প্রতিপক্ষ কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টিকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, তাঁর পরিবারের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। তাও তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছেন। এটাই ভারতের গণতন্ত্র। তিনি দেশের জন্য কাজ করতে চান বলেও জানিয়েছেন। মানুষের উন্নয়ন করাই তাঁর প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন তাঁকে এখানে পাঠান হয়েছে। কিন্তু তার থেকেই বড় কথা বারাণসীর মানুষ তাঁকে আপন করে নিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন বারাণসীর মানুষ তাঁর মনে কথা বুঝে যায়। তিনি আরও বলেন মাত্র ১০ বছরের মধ্যেই তিনি দেশের অর্থনীতি বদলে দিতে পারবেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ভয়ঙ্কর ভিডিও, মাত্র ৮টি রকেট ধ্বংস করে দিল একটি আস্ত বিমানবন্দর
মস্কোর দাবি মানলেই যুদ্ধ শেষ হবে, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট নিয়ে শর্ত পুতিনের
হিমালয়ের যোগীকাণ্ডে গ্রেফতার চিত্রা রামাকৃষ্ণ, সিবিআইএর হেফাজতে এনএসই-র প্রাক্তন কর্তা