কংগ্রেসের টিকিটে জয়ীরা যাবে দল বদল করতে না পারে তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।গত বিধানসভা নির্বাচন কংগ্রেস মণিপুর ও গোয়ায় বেশি আসন পেলেও ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি। বিজেপি ছোটদলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করেছিল।
বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী পাঁচ রাজ্যের মধ্যে একমাত্র উত্তরাখণ্ডে (Uttrakhand) সহজে জয় হাসিল করতে পারবে। কিন্তু বুথ ফেরত সমীক্ষায়ে কংগ্রেসের (Congress) তেমন ভরসা নেই তা প্রমাণ করলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। ভোটের পর বিধায়কদের বিজেপি (BJP) থেকে দূরে রাখতে আর এক ছাতার তলায় রাখতে উত্তারাখণ্ডে ইতিমধ্যেই দলের ১৩ জন প্রবীণ নেতাকে পাঠান হয়েছে। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী তথা ওয়ার্কিং কমিটের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ভূপেশ বাঘেলা ১৩ নেতাকে পাহাড়ী রাজ্যে পাঠিয়েছেন। সঙ্গে অবশ্যই তিনিও গেছেন। তবে ফল প্রকাশের দিন তিনি উত্তরাখণ্ড পৌঁছাবেন।
অন্যান্য কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে রয়েছে দীপেন্দর সিং হুডা, অজয় কুমার, সঞ্জারিতা লিয়াটফ্লাং, গৌরভ বল্লভ, জিতু পাটোয়ারি, এমবি পাটিল, রানা গুপ্তা, দেবেন্দ্র যবেন্দ্র। দিপীকা পাণ্ডে ও মোহন প্রকাশও দেরাদুন পৌঁছে গেছেন।
কংগ্রেসের টিকিটে জয়ীরা যাবে দল বদল করতে না পারে তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।গত বিধানসভা নির্বাচন কংগ্রেস মণিপুর ও গোয়ায় বেশি আসন পেলেও ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি। বিজেপি ছোটদলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করেছিল। সেই সময় কংগ্রেস অভিযোগ করেছিল টাকা বিলি করে সরকার গঠন করেছে বিজেপি। কিন্ত এবার আগে থেকেই ঘর গোছাতে ব্যস্ত হয়েছে কংগ্রেস। গোয়ার পাশাপাশি উত্তরাণ্ডেও যাতে আগের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না হয় তারই ব্যবস্থা করছে।
সূত্রের খবর জয়ী প্রার্থীদের রাতারাতি অন্যত্র নিভৃতবাসে নিয়ে যেতে পারে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী অবশ্য দলের ভাঙন রুখতে আগে ছেকেই মিশন এমএলএ চালু করেছেন। সেই মিশন উত্তরাখণ্ডে কার্যকর করা হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
৭০ আসনের উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগার হল ৩৬। এই রাজ্যের শাসকদল বিজেপি প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস। গত পাঁচ বছর বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের পাশাপাশি দূর্নীতির একাধিক অভিযোগ উঠেছে। যা দলটিকে কিছুটা হলেও কোনঠাসা করেছে। যদিও ড্যামেজ কন্ট্রোলে আসনে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বদল করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে এই রাজ্যে কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দলও প্রবল আকার নিয়েছে। তবে বুথ ফেরত সমীক্ষায় কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। তাই কোনও রকম গাফিলত করতে নারাজ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। ভোট প্রচারে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব এই রাজ্যে গিয়েছেন। রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও প্রচার করেছেন। তবে ফল কী হয় তা বলবে ১০ মার্চ।
'আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপালে ক্ষতি হবে আপনাদেরও', ইউরোপকে কড়া হুঁশিয়ারি রাশিয়ার
ভোটের ফল প্রকাশের পর কি পঞ্জাব কংগ্রেস ভাঙবে, ক্যাপ্টেনের বাড়ির নৈশভোজ উস্কে দিল সেই প্রশ্ন
মণিপুরে বড় ফ্যাক্টর হতে পারে আফস্পা, জোর লড়াই বিজেপি-কংগ্রেসের