Waqf (Amendment) Bill Debate: বুধবার লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে বিতর্কে যোগ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি এ বিষয়ে বিরোধীদের আক্রমণের জবাব দিলেন।
Amit Shah on Waqf (Amendment) Bill: বুধবার লোকসভায় ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল নিয়ে বিতর্কে যোগ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বিরোধীদের আক্রমণের জবাব দিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। কোনও অমুসলিম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হস্তক্ষেপ করবে না। বিরোধী দলগুলি সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভয় তৈরি করতে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে বলেও দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহ বলেন, 'কোনও অ-ইসলামিক সদস্য ওয়াকফের অংশ হবে না। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য কোনও অমুসলিমকে নিয়োগ করার কোনও বিধান নেই। আমরা এই ধরনের কোনও বিধান চালু করতে চাই না। গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে এই আইন মুসলিম ভাইদের ধর্মীয় আচার এবং তাদের দান করা সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। এটা সংখ্যালঘুদের ভয় দেখানোর জন্য করা হচ্ছে।'
কংগ্রেসকে আক্রমণ অমিত শাহের
অমিত শাহ আরও বলেন যে কংগ্রেস সরকারের ২০১৩ সালের সংশোধনীর কারণেই বর্তমান ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের প্রয়োজন হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৩ সাল পর্যন্ত সবকিছু মসৃণভাবে চলছিল। যখন ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষমুহূর্তে কংগ্রেস শুধুমাত্র তোষণ নীতির জন্য ওয়াকফ আইনে বড় পরিবর্তন আনে। এই পরিবর্তনের ফলে তৎকালীন সরকার সাধারণ নির্বাচনের মাত্র ২৫ দিন আগে লুটিয়েন্স দিল্লির ১২৩টি প্রধান সম্পত্তি ওয়াকফ বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করে। যা তাদের উদ্দেশ্য এবং সময় নির্বাচন নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলে। কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে অমিত শাহ আরও বলেন, তাঁরা বিরোধী দলের মতো নন। বিজেপি যে কোনও বিল অনুমোদনের আগে বিস্তারিত আলোচনা এবং সংশোধন করে নেয়।
ওয়াকফ নিয়ে সরকারের মত স্পষ্ট করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ওয়াকফ আইন এবং ওয়াকফ বোর্ড ১৯৯৫ সাল থেকে কার্যকর রয়েছে এবং সাম্প্রতিক সংশোধনীগুলো তাদের ব্যবস্থাপনার মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন করে না। তিনি বলেন, 'ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় কোনও অমুসলিমকে অন্তর্ভুক্ত করার বিধান নেই। আমরা তা চালু করতে চাই না। এই আইন মুসলিমদের ধর্মীয় আচরণ এবং তাদের সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ করবে, এই ভুল ধারণা ভোটব্যাংকের রাজনীতির জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ছড়ানো হচ্ছে।' অমিত শাহ ওয়াকফ এবং অন্যান্য ধর্মীয় ট্রাস্টের মধ্যে তুলনা টেনে বলেন যে ওয়াকফ ট্রাস্ট আইনের অধীনে একটি ট্রাস্টের মতোই কাজ করে। তিনি বলেন, ‘একটি ট্রাস্টে যেমন ট্রাস্টি এবং একজন ম্যানেজিং ট্রাস্টি থাকেন, তেমনই ওয়াকফে একজন ওয়াকিফ, ওয়াকফ নিজে এবং মুতাওয়াল্লি থাকেন। এই পদগুলো ইসলামের অনুসারীদের। যেহেতু ওয়াকফের ধারণাটি ইসলাম থেকে এসেছে। তাই এটি ইসলামিক আইন অনুসরণকারীদের দ্বারাই পরিচালিত হওয়া উচিত।’
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।