নিজের রাজ্য তেলেঙ্গানার পাশাপাশি গোটা দেশেই নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ, উন্নয়ন-চালিত নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও বা কেসিআর। মমতারও একই ভাবমূর্তি রয়েছে বাংলায়।
২০১৬, ২০১৯, ২০২১ বিধানসভা হোক বা লোকসভা, প্রতি নির্বাচনেই মোদী ব্রিগেডকে জোর ধাক্কা দিয়েছে বাংলার মমকা ব্রিগেড। এমনকি চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে গোটা দেশজুড়েই ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল-কংগ্রেস। তাতে অস্বস্তি বেড়েছে পদ্ম শিবিরের। অন্যদিকে মমতার পাশাপাশি নিজের রাজ্য তেলেঙ্গানার পাশাপাশি গোটা দেশেই নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ, উন্নয়ন-চালিত নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও বা কেসিআর। ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনী বিরোধী জোট থেকে প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসাবে উঠে আসছে তার নামও। সহজ কথায় বিভিন্ন অ-বিজেপি রাজ্যের বিরোধী নেতারা কেসিআরকে নিজ রাজ্যে আমন্ত্রণ জানাতে বা দেখা করার জন্য ধীরে ধীরে সারিবদ্ধ হচ্ছেন। এদিকে গোয়া, অসম, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশে বর্তমানে ঘাঁটি শক্ত করার কাজ শুরু করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। এমতাবস্থায় কেসিআর-র উত্থান যে মমতাকে চাপে ফেলবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি কে. চন্দ্রশেখর রাওকে ফোনে দোসা খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। চন্দ্রশেখর রাও তাকে হায়দরাবাদে আসার আমন্ত্রণ জানান। যা নিয়েও বিস্তর চর্চা শুরু হয় রাজনীতির ময়দানে। অন্যদিকেচন্দ্রশেখর রাও রবিবার তাঁর বাসভবনে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করেন। এই সময়ে, উভয় নেতাই জাতীয় স্তরে বিজেপির বিরুদ্ধে একটি ফ্রন্ট গঠনে সম্মত হন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আগামী দিনে কেসিআরের সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন। এছাড়াও, তিনি অতীতে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের সাথেও কথা বলেছেন। টুইটারে এটি নিশ্চিত করে এম কে স্ট্যালিন বলেছেন যে আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে কথা বলেছি এবং তিনি অ-বিজেপি এবং অ-কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীদের একটি বৈঠক ডাকার কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন- আনিস মৃত্যুতে বড় পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের, কবে শুরু হচ্ছে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি
আরও পড়ুন- নয়া শিক্ষানীতির বাস্তবায়নে ব্যাপক ভাবে সাহায্য করবে এবারের বাজেট, দাবি মোদীর
এদিকে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় স্তরে বিজেপির বিরুদ্ধে আরও জোরালো ভাবে সোচ্চার হয়েছেন। এমনকী বিজেপিকে কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে সরানোর ডাক দিয়েছেন। যদিও তিনি কংগ্রেসকে এতে বিরোধী জোটে আপাতত অন্তর্ভুক্ত করতে রাজি নন। তিনি সাফ বলেছেন, “কংগ্রেস নিজের পথ বেছে নিতে পারে এবং আমাদের পথ আলাদা।” এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, কংগ্রেসকে সঙ্গে না নিয়ে বিরোধী ইউনিটের প্রচেষ্টা কতটা সফল হবে এবং তাতে বিজেপি কতটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি জাতীয় পর্যায়ে কিছুটা আলোড়ন সৃষ্টি করলেও বাস্তব রাজনীতির ময়দানে কতটা ছাপ ফেলবে সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।
আরও পড়ুন- সাহস থাকলে সিবিআই তদন্ত টাক রাজ্য, আনিস কাণ্ডে মমতাকে তোপ দিলীপের
আরও পড়ুন- কতটা শান্তিপূর্ণ ভোট হল উত্তরপ্রদেশে, তৃতীয় দফার নির্বাচন শেষে পাল্লা ভারী কার