৩৭০ ধারা বাতিল ও রামমন্দির-এর লক্ষ্য পূর্ণ, রইল বাকি 'তৃতীয় কাজ'

  • ৩৭০ ধারা বাতিল এবং রামমন্দির নির্মাণ সম্পূর্ণ
  • আরএসএস জানিয়েছে অযোধ্যা রায়কে নিয়ে তারা কাশী ও মথুরা-র মন্দির সংক্রান্ত দাবি তুলবে না
  • এবার কি তাহলে অভিন্ন দেওয়ানি নীতি চালুর দিকে এগোবে মোদী-শাহ

 

amartya lahiri | Published : Nov 10, 2019 2:22 PM IST / Updated: Nov 10 2019, 07:54 PM IST

৩৭০ ধারা বাতিল করা এবং অযোধ্যা বিতর্কিত স্থানে রামমন্দির নির্মাণ - রাষ্ট্রীয় সমাজসেবা সংঘ এবং তাদের রাজনৈতিক মুখ বিজেপি অর্থাৎ গেরুয়া শিবিরের দীর্ঘদিনের তিনটি নির্বাচনী অ্যজেন্ডার দুটি ইতিমধ্য়েই দ্বিতীয় মোদী সরকারের আমলে করা হয়ে গিয়েছে। পরে আছে শুধুমাত্র অভিন্ন দেওয়ানি নীতি চালু। এবার কি সেই পথে এগোবেন মোদী-শাহ? রবিবার কিন্তু সেই ইঙ্গিত মিলল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর বক্তব্যে।

রবিবার সংঘচালক মোহন ভাগবত, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অলোক কুমার-সহ আরএসএস-এর নেতারা জানিয়েছেন অযোধ্যা রায়কে ব্যবহার করে 'কাশী ও মথুরা'-র মন্দির সংক্রান্ত বিষয় নতুন করে তোলা হবে না বলে জানিয়েছেন। কিন্তু অভিন্ন দেওয়ানি নীতি নিয়ে প্রশ্ন করাতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং কিন্তু এই বিষয়ে দারুণ উৎসাহ দেখিয়েছেন।   

এদিন সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন অভিন্ন দেওয়ানি নীতি চালু করার সময় এসেছে। রাজনাথ সিং কিন্তু হাল্কা কথা বলার লোক নন। অত্যন্ত যত্ন নিয়ে এবং মেপে কথা বলেন তিনি। তার এই প্রতিক্রিয়ায় জল্পনা শুরু হয়েছে যে মোদী সরকার এখন গেরুয়া শিবিরে সর্বশেষ অ্যাজেন্ডা পূর্ণ করার দিকে এগোচ্ছে।

ধারাবাহিকভাবেই বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারে জায়গা পেয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি নীতি চালুর প্রতিশ্রতি। অভিন্ন দেওয়ানি নীতি হল ভারতের প্রতিটি বড় ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ধর্মগ্রন্থ ও রীতিনীতি ভিত্তিতে তৈরি হওয়া ব্যক্তিগত আইন পাল্টে ভারতীয় সংবিধানের বাধ্যবাধকতা নিয়ে প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি সাধারণ আইন তৈরি। অর্থাৎ, বর্তমানে যেরকম মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য পার্সোনাল  বোর্ড রয়েছে, সেগুলি আর থাকবে না।  

দ্বিতীয় মোদী সরকারের প্রথম কয়েক মাসেই 'তাৎক্ষণিক তিন তালাক' আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। তিন তালাক এখন ফৌজদারি অপরাধ। এরপর সারাদেশে নাগরিকপঞ্জি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে মোদী সরকার। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে পেশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাজনাথ সিং-এর এদিনের বক্তব্যের পর মনে করা হচ্ছে সারা দেশে অভিন্ন দেওয়ানি নীতি চালু করার জন্যও শীতকালীন অধিবেশনে একটি বিল আনতে পারে বিজেপি সরকার।  

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই সুপ্রিম কোর্ট সংবিধান মেনে পুরো দেশের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি নীতি চালুর ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে সরব হয়েছিল। শীর্ষ আদালত জানায়, অভিন্ন দেওয়ানি নীতি চালুর বিষয়ে সরকারে পক্ষ থেকে এতদিনে কোনও পদক্ষেপই নেওয়া হয়নি। দিল্লি হাইকোর্টও অভিন্ন দেওয়ানি নীতি বাস্তবায়ন করতে চেয়ে একগুচ্ছ আবেদন জমা পড়েছে। এবার মোদী সরকার সত্যি সত্যি অভিন্ন দেওয়ানি নীতি চালুর চেষ্টা করে কিনা সেটাই দেখার। যদিও অনেকেই মনে করেন এই কাজটা করা খুব সহজ হবে না।

Share this article
click me!