করোনার পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষার থেকেও স্বাস্থ্যকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। আর সেই কারণে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই প্রায় দেড় বছর ধরেই বন্ধ রয়েছে স্কুল। বেশিরভাগ স্কুলই এখন চলছে অনলাইনে। যদিও সেই পরিষেবা না থাকায় সমস্যায় পড়েছে সরকারি স্কুলগুলির পড়ুয়ারা। আর এই পরিস্থিতিতে শীঘ্রই স্কুল খোলার পক্ষে সওয়াল করলেন এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া।
আরও পড়ুন- কোভিডে ফের মৃত্যু বাড়ল রাজ্যে, আশঙ্কা বাড়াচ্ছে ডেল্টা প্লাস
তিনি বলেন, "এবার সময় হয়ে গিয়েছে শিক্ষার উপরে জোর দেওয়ার। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পড়ুয়াদের ক্ষতি হচ্ছে, তাই দ্রুত স্কুল-কলেজ খুলতে পদক্ষেপ করুক সরকার।"
গত বছর মার্চে দেশে থাবা বসিয়েছিল করোনা। সেই সময় পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কারণ জমায়েত থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। করোনার প্রথম ঢেউয়ের দাপট কিছুটা কমার পর উঁচু ক্লাসের শিক্ষার্থীদের স্কুল শুরু করেছিল রাজ্যগুলি। কিন্তু, কয়েকদিন যেতে না যেতেই ফের দেশে আছড়ে পড়েছিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। সেই কারণে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফের স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে এখন বাড়িতে বসেই দিন কাটছে পড়ুয়াদের।
আরও পড়ুন- ৪৩ বার পজিটিভ, ৫ বার মৃত্যু-মুখে - রেকর্ড গড়ে ১০ মাস পর কোভিড নেগেটিভ হলেন এই ব্যক্তি
কোনও কোনও স্কুলে অনলাইনে পড়াশোনা চালু হয়েছে। কিন্তু, দেশের সব জায়গাতে এই সুবিধা পৌঁছায়নি। এমন অনেক পরিবার রয়েছে যাঁদের পক্ষে অনলাইনে পড়াশোনার খরচ চালানো কোনওভাবেই সম্ভব নয়। এছাড়া এমন অনেক প্রান্তিক জায়গা রয়েছে যেখানে এখনও সঠিক ইন্টারনেট পৌঁছায়নি। এই পরিস্থিতিতে ক্ষতি হচ্ছে পড়ুয়াদের। অনেকটা পিছিয়ে পড়ছে তারা। তাই দ্রুত স্কুল খোলা উচিত বলে মনে করেন গুলেরিয়া।
তিনি বলেন, "এর ফলে গরিব, পিছিয়ে পড়া শ্রেণির পড়ুয়াদের চরম ক্ষতি হচ্ছে। তাই দ্রুত স্কুল খোলার পদক্ষেপ করা উচিত সরকারে। স্কুল হচ্ছে এমন একটি জায়গা যেখানে শিশুদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে। স্কুলের পরিবেশ শিশুদের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। আর স্কুলগুলি বন্ধ থাকায় পড়ুয়াদের চরম ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষ করে সেইসব পড়ুয়াদের যাদের অনলাইনে পড়াশোনা করার সুযোগ নেই।"
আরও পড়ুন- তৃতীয় তরঙ্গ আসার আগেই সন্তানের ইমিউনিটি বাড়ান, রইল খুব সহজ কয়েকটি উপায়
গুলেরিয়া আরও বলেন, "ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি স্কুলগুলি খোলার কৌশল নির্ধারণের জন্য সরকারের এগিয়ে আসা উচিত। কারণ, স্কুল বন্ধ থাকায় জ্ঞানের নিরিখে সত্যিই পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষতি হচ্ছে।"