বিশ্বাস করা সত্য়িই কঠিন। কিন্তু বিশ্বাস না-করেও কোনও উপায় নেই। এবার কৃত্রিম আইভিএফ পদ্ধতিতে জন্মালো চিতাবাঘের বাচ্চা। মার্কিন মুলুকের ওহিয়োর কলাম্বাস জু অ্য়ান্ড অ্য়াকোরিয়ামে এমন বিস্ময়কর কাণ্ডটাই ঘটেছে সম্প্রতি!
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞানীদের এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের কথা জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, সদ্য়োজাত দুই চিতার মধ্য়ে একটি ছেলে আর অন্য়টি মেয়ে। এই ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখ রাত দশটা নাগাদ জন্ম নিয়েছে এই দুই চিতা শাবক।
গত কয়েকদশক ধরে ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বা আইভিএফ পদ্ধতি খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেক সন্তানহীন দম্পতির মুখে হাসি ফুটিয়েছে এই পদ্ধতি। এতে বাবার শুক্রাণু ও মায়ের ডিম্বানুকে ল্য়াবরেটরিতে কৃত্রিম পদ্ধতিতে নিষিক্ত করে, নিষিক্ত অংশটিকে ইনজেকশনের মাধ্য়মে মায়ের গর্ভে প্রবেশ করানো হয়। আর তার ফলেই জন্ম নেয় শিশু। এদেশে এই পদ্ধতির আবিষ্কার করতে গিয়ে অবহেলার শিকার হয়ে আত্মঘাতী হতে হয়েছিল গবেষক-চিকিৎসক সুভাষ মুখোপাধ্য়ায়কে।
বিভিন্ন কারণে যখন সন্তান ধারণ সমস্য়া হয় মহিলাদের, তখন এই কৃত্রিম পদ্ধতিতেই সন্তান জন্ম দেওয়ার পথে হাঁটেন অনেকে। এখন অবশ্য়, সারোগেসি বা গর্ভভাড়া দেওয়ার সুযোগও এসে গিয়েছে। ওই পদ্ধতিতেও চলছে সন্তান জন্ম দেওয়ার ঘটনা। কিন্তু, মনুষ্য় সমাজে যা প্রচলিত ছিল, তা এবার পশুসমাজেও যে চলে আসবে, তা কেউ ভাবতে পারেনি। কৃত্রিম আইভিএফ পদ্ধতিতে কোনও পশুর জন্ম দেওয়ার কোনও নজির কোথাও আছে বলে কেউ মনে করতে পারছেন না। তাই আক্ষরিক অর্থেই এটি একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও , দু-দশক আগে, ক্লোন করে একটি ভেড়ার জন্ম দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।