দীপাবলির সময়ে মন্তব্য করেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো
এবার ক্রিসমাসের আগে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন সাতজন মার্কিন সেনেটর
ভারতের কৃষি আন্দোলন নিয়ে চিঠি গেল মাইক পম্পেও-র কাছে
ট্রুডোকে দেওয়া উত্তর ধরে রাখতে পারবে ভারত
দীপাবলির শুভেচ্ছা জানতে গিয়ে ভারতের কৃষক আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এবার ক্রিসমাসের আগে ভারতের কৃষি আন্দোলন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন সাত-সাতজন প্রভাবশালী মার্কিন সেনেটর। যার মধ্য়ে রয়েছেন ভারতীয়-মার্কিন সাংসদ প্রমিলা জয়পাল-ও। মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক মাইক পম্পেও-কে চিঠি দিয়ে তাঁরা ভারত সরকারের কাছে কৃষকদের বিক্ষোভের বিষয় নিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ওই চিঠিতে মার্কিন আইন প্রণেতারা বলেছেন, এই আন্দোলন পঞ্জাবের সঙ্গে যুক্ত শিখ-মার্কিনদের জন্যই বিশেষ উদ্বেগের বিষয় তা নয়, সার্বিকভাবে তা সকল ভারতীয়-মার্কিন সম্প্রদায়ের উপরই গভীর প্রভাব ফেলেছে। তাঁরা বলেছেন, বহু ভারতীয়-মার্কিন পরিবারেরই পঞ্জাবে আত্মীয়-স্বজন আছেন, পৈতৃক জমি-জমা রয়েছে। তাই অনেকই প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন এবং আরও বহু মানুষ ভারতে তাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন আইনপ্রণেতা হিসাবে তাঁরা ভারত সরকারের জাতীয় নীতি নির্ধারণের অধিকারকে সম্মান করেন। পাশাপাশি, ভারতে ও বিদেশে যাঁরা এই কৃষি আইনগুলির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তাঁদের অধিকারকেও স্বীকার করেন। কারণ, বহু ভারতীয় কৃষকই এই আইনগুলিকে তাঁদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার উপর আক্রমণ বলে মনে করছে। আরও বলা হয়েছে, যেহেতু রাজনৈতিক বিক্ষোভের সঙ্গে আমেরিকার সরকার বেশ পরিচিত, তাই এই সামাজিক অস্থিরতার সময় তারা ভারত সরকারকে পরামর্শও দিতে পারে।
এর আগে জাস্টিন ট্রুডোর কৃষক বিক্ষোভ সম্পর্কে মন্তব্যকে 'অসতর্ক' এবং 'অযাচিত' বলেছিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। বলা হয়েছিল এই কৃষি আইন ও তাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ - সবটাই গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বিদেশী নেতাদের এই ধরণের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকাই ভালো, বলেও জানানো হয়েছিল।
"আমরা ভারতের কৃষকদের সম্পর্কিত কিছু অপ্রত্যাশিত মন্তব্য দেখেছি। এ জাতীয় মন্তব্য অযৌক্তিক, বিশেষত যখন একটি গণতান্ত্রিক দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় সম্পর্কিত," এই মাসের গোড়ার দিকে বলেছিলেন। যদি শেষ পর্যন্ত মাইক পম্পেও এই বিষয়ে ভারত সরকারকে সত্যিই কোনও পরামর্শ দেন, তখন কি নয়াদিল্লির সুর একই রকম রাখতে পারবে, সেটাই এখন দেখার।