জাতিসংঘের প্রাক্তন পরিবেশ প্রধান এরিক সোলহেইম রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিকাগো আর্ট ইন্সটিটিউটের বাইরে স্বামী বিবেকানন্দকে উৎসর্গ করা একটি লেনের ছবি শেয়ার করেছেন। টুইটে লেখেন, ‘শিকাগো আর্ট ইনস্টিটিউটের বাইরে, একটি লেনের নাম স্বামী বিবেকানন্দ পথ। তাঁর কথা শুধু ভারতীদের অনুপ্রাণিত করেনি, তাঁর বাণী বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করেছে।’
শিকাগো শহরে স্বামী বিবেকান্দের দেওয়া ভাষণের কথা চিরকালই স্মরণীয় হয়ে আছে বিশ্বের ইতিহাসে। তাঁর কাজ, তাঁর জ্ঞান, তাঁর প্রচেষ্টা আজও বিশ্বের প্রতিটি মানুষের জীবনে এক আলাদা মাহাত্ম্য রাখে। আর সেই হিন্দু সন্ন্যাসীকে বিশেষ সম্মান দেওয়া হল শিকাগো শহরে। সদ্য, জাতিসংঘের প্রাক্তন পরিবেশ প্রধান এরিক সোলহেইম রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিকাগো আর্ট ইন্সটিটিউটের বাইরে স্বামী বিবেকানন্দকে উৎসর্গ করা একটি লেনের ছবি শেয়ার করেছেন।
এই ছবি তিনি টুইট করেন। আর টুইটে লেখেন, ‘শিকাগো আর্ট ইনস্টিটিউটের বাইরে, একটি লেনের নাম স্বামী বিবেকানন্দ পথ। তাঁর কথা শুধু ভারতীদের অনুপ্রাণিত করেনি, তাঁর বাণী বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করেছে।’
নরওয়েজিয়ান কূটনীতিক, যিনি ইউএনইপি প্রধান থাকার সময় থেকেই ভারতের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখেছেন প্রায়শই দেশ সম্পর্কিত বিষয়গুলিতে টুইট করেন। সদ্য তাঁর এই টুইট নজর কেড়েছে বিশ্ববাসীর। স্বামী বিবেকানন্দ পার্মানেন্ট মেমোরিয়াল আর্ট প্যালেসে, বর্তমানে শিগারোর আর্ট ইনস্টিটিউট নামে পরিচিত। সেখানেই স্বামী বিবেকনন্দ বিশ্ব ধর্মের সংসদের আন্তঃধর্ম সংলাপের ওপর একটি ভাষণ দিয়েছিলেন।
এই স্বামী বিবেকানন্দ ওয়ে প্রসঙ্গে ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, স্বামী বিবেকানন্দ একটি ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। যেখানে এখন ফুলারটন হল। তিনি সমস্ত ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা ও ধর্মান্ধতার অবসানের আহ্বান জানিয়েছিল। আরও লেখা রয়েছে, বক্তৃতাটি ছিল দুই মিনিটে। কিন্তু, তার দ্বারাই অনেক আমেরিকানরা হিন্দু ধর্ম ও ভারতীয় সংস্কৃতির পরিচয় পেয়েছেন। ওয়েব সাইটে স্বামী বিবেকানন্দ ওয়ে প্রসঙ্গে লেখা রয়েছে, সাইট নির্দিষ্ট কাজটি ধর্মীয় সহনশীলতার জন্য বিবেকানন্দের আহ্বান ও ১০৮ বছর পর ঘটে যাওয়া সন্ত্রীস হামলার মধ্যে ফাটলকে তুলে ধরেছে।
প্রথম বিশ্বধর্ম মহাসম্মেলন ১৮৯৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর শিকাগোর আর্ট ইনস্টিটিউট উদ্বোধন হয়। এদিন বিবেকানন্দ তার প্রথম সংক্ষিপ্চ ভাষণ দেন। তিনি ভারত এবং হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি বক্তৃতা শুরু করেন আমেরিকার সমবেত ভগিনী ও ভ্রাতাগণ- এই বলে। তার এই সম্ভাষণে প্রায় সাত হাজারের মতো দর্শক শ্রোতা দু মিনিট দাঁড়িয়ে তাঁকে সংবর্ধনা জানান। ১১ সেপ্টেম্বর ১৮৯৩ সালের ভাষণটি ইনস্টিটিউটে একটি শিল্প স্থাপনকে অনুপ্রাণিত করেছিল। এদিন তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দেওযা সত্ত্বেও এই বাণী সভার আত্মা ও বিশ্বজনীন চেতনাকে ধ্বনিত করেছিল। যা বিশ্ব ইতিহাসে আজও উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে।