বায়ুদূষণের গ্রাসে মানবসমাজ, এবার মাতৃগর্ভে পাওয়া গেল বিষাক্ত কালো কার্বন কণা

  • বায়ুদূষণের মাত্রা দিনের পর দিন বিস্তার লাভ করছে
  • বায়ুদূষণের করাল গ্রাসে রয়েছে মানবসমাজ
  • এই বিষয়ে ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশনের তরফে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে 
  • এবার মাতৃগর্ভে পাওয়া গেল দূষিচ কার্বন কণা

Indrani Mukherjee | Published : Sep 19, 2019 4:41 AM IST / Updated: Sep 19 2019, 10:19 AM IST

বায়ুদূষণের মাত্রা যেভাবে দিনের পর দিন বিস্তার লাভ করছে, যার ফলে বিরাট ক্ষতির দিকে এগিয়ে চলেছে সমস্ত মনুষ্য সমাজ। এমনকী ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশনের তরফে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে, জনস্বাস্থ্যের পক্ষে অন্যতম বড় হুমকি হল বায়ুদূষণ। সম্প্রতি একটি গবেষণার মাধ্যমে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গর্ভাবস্থায় দূষিত বায়ু সংস্পর্শে থাকা যে কতখানি খারাপ তার প্রমাণ পাওয়া গেল। 

সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গর্ভাবস্থায় বায়ুদূষণের সংস্পর্শে থাকা মহিলাদের ভ্রুণের পাশা কালো কার্বন কণা পাওয়া গিয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, ২৮ জন গর্ভবতী মহিলার প্রদান করা টিস্য়ু স্যাম্পেলে বায়ুদূষণের কণা পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন এই কণাগুলি স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। 

গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, গর্ভবতী মায়ের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে এইসব কার্বন কণা শরীরে মধ্যে প্রবেশ করেছে। এখন গবেষকরা এটা খতিয়ে দেখছেন যে, এইসব ক্ষতিকারক কার্বন কণা গর্ভস্থ শিশুর কোনও ক্ষতি করেছে কিনা সেটাই খতিয়ে দেখছেন। 

বেলজিয়ামের হ্যাসেল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা হাউ-রেজোলিউশন ইমেজিং ব্যবহার করে মাতৃগর্ভ থেকে ওইসব কার্বন কণা উদ্ধার করেছে। গবেষকরা আরও দেখতে পেয়েছেন যে, যে সমস্ত মহিলার অতিরিক্ত মাত্রায় দূষিত বাতাসের সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদের শরীরে কার্বন কণার মাত্রা সবচেয়ে বেশি, পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত কম দূষণের সংস্পর্শে যারা এসেছে তাদের শরীরে কার্বন কণার উপস্থিতি খানিকটা হলেও কম। 

প্রতিদিব জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে প্রতিদিন প্রায় প্রচুর পরিমাণে ব্ল্যাক কার্বন কণা নিঃসৃত হয়। যা বাতাসে মিশে বাতাসকে দূষিত করে দেয়। চিকিৎসকদের ধারণা, এই দুষিত পদার্থগুলিই একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরে সুদূর প্রসারী প্রভাব বিস্তার করে এবং গর্ভবতী মায়ের শরীরে উচ্চরক্তচাপের সমস্যা বাড়িয়ে দিয়ে অকালে গর্ভপাতের মতো ঘটনাও ঘটে। 

Share this article
click me!