চলতি মাসের শুরুতেই তালিবানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা বাতিল করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগে আফগানিস্তানে দু'বার পিছিয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। শেষপর্যন্ত কড়া নিরাপত্তা বলয়ে শনিবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল দেশে। তালিবানরা যাতে ভোটকেন্দ্রগুলিতে হামলা চালাতে না পারে তারজন্য দেশজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছিল ৭০ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তারক্ষী। তবে এসবের পরেও একেবারে শান্তিপূর্ণ রাখা যায়নি ভোটকেন্দ্রগুলিকে। দেশের নানা প্রান্তে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। জালালবাদে ভোটে অশান্তির জেরে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১ জনের। কান্দাহারেও নির্বাচনী কেন্দ্রের বাইরে বিস্ফোরণ ঘটনা হয়। দেশ জুড়ে আহতের সংখ্যা ২৭ বেশি।
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানির মূল প্রতিদ্বন্দ্বি চিফ এক্সিকিউটিভ আবদুল্লা আবদুল্লা। দু'জনেই ২০১৪ সাল থেকে আফগান সরকারের ক্ষমতায় রয়েছেন।
বোম ও মর্টার হামলার আতঙ্কের মধ্যেই অবশ্য দেশের দক্ষিণের শহর কান্দাহারের ভোটকেন্দ্রের বাইরে চোখে পড়ল মহিলাদের লম্বা লাইন। এখনও পর্যন্ত ৯০ লক্ষ আফগানি নিজেদের ভোটাধিকার প্রযোগ করেছেন। তারমধ্যে ৩৫ শতাংশ মহিলা বলে জানা গেছে।
ভোট ঘিরে কড়া নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছিল রাজধানী কাবুলকে। রাজপথের দখল নিয়েছিল সেনা। তালিবানরা যাতে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ না ঘটাতে পারে তারজন্য তৎপর ছিল প্রশাসন। রাষ্ট্রপতি ভবনের পাশে একটি স্কুলে ভোট দিতে যান ঘানি। ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে শান্তি ফেরানোই তাঁর লক্ষ্য বলে জানান বিদায়ী প্রেসিডেন্ট।