তালিবানদের ভয় দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে শত শত আফগান বাসিন্দা। অজানা ভবিষ্যতের দিয়ে চলছে মহিলা ও শিশুরাও।
রবিবার কাবুলের দখল নিয়েছে তালিবানরা। সোমবার দীর্ঘ ২০ বছরের যদ্ধে ইতিটেনেছে সাংবাদিক সম্মেলনে। কিন্তু তালিবানদের নিয়ে আফগানিস্তানের বাসিন্দাদের যে ভয় তা এখনও যায়নি। রবিবারই তালিবান প্রধান মোল্লা বরাদর ঘোষণা করেছেন কোনও রকম রক্তপাত তিনি চান না। শান্তিপূর্ণ উপায়ই ক্ষমতার হস্তান্তর চান। তবে তার ২৪ ঘণ্টা কেন, ৪৮ ঘণ্টা পরেও তালিবানদের নিয়ে রীতিমত সন্ত্রস্ত আফগানবাসী।
সোমবার আফগানবাসী দেশ ছেড়ে পালাতে মরিয়া প্রয়াস চেষ্টা করেছিল। কাবুল বিমান বন্দরে রীতিমত নৈরাজ্য তৈরি হয়েছিল। যাতে পাঁচ জনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়। এই অবস্থায় মার্কিন বায়ু সেনার বিমানে করে প্রায় এক কাপড়ে দেশ ছাড়ে ৬০০ আফগান। সংবাদ সংস্থা ডিফেন্স ওয়ানের শেয়ের করা সেই ছবি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় নেটদুনিয়ায়। মার্কিন বিমান বাহিনীর C17 Goldmaster 3 বিমান করে তারা অজানা ভবিষ্যতের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়েছ। সেখানে আফগানদের চোখেমুখে ভয় ফুটে উঠেছে। পুরুষদের সঙ্গে মহিলারাও ঠাসাঠাসি করে বিমানের মেঝেতে বসে অথবা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মাতৃভূমি ছেড়ে চলে যাচ্ছে অন্যত্র। নিউজ ওয়েবসাইটটি জানিয়েছে বিমানে মোট ৬৪০ জন যাত্রী ছিল। এই বিমানে এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি আফগান দেশ ছেড়েছে।
সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে সোমবার কাবুল বিমান বন্দরে দেশ ছাড়তে চাওয়া আফগানদের ভিড় ছিল প্রবল। মানুষ রানওয়ে দিয়ে বিমানে ওঠার জন্য ছোটাছুটি করছিল। দুটি অ্যাপাচি অ্যাটাক হেলিকপ্টার ভিড় ছত্রভঙ্গ করে C17কে ওড়ার জায়গা করে দিয়েছিল। আরও বেশ কয়েকটি বিমানে আফগানরা জোরজবরদস্তি উঠে পড়ে। চলে যায় দেশের বাইরে। যদিও পরবর্তীসময় কাবুলে কার্ফু জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে তালিবানরা।
এটাই একমাত্র ছবি নয়। সংবাদ সংস্থা আরও বেশ কতগুলি ছবি শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে বিমানে বাসের মত ঝুলতে ঝুলতে উঠে পড়ছে আফগানরা। বেপরোয়াভাবেই দেশ ছাড়তে চাইছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তালিবানদের হাত থেকে নিস্তার পেতে সঞ্চিত জমাপুঁজি সবই রেখে গেছে তারা। কোনও মানুষকেই মালপত্র নিয়ে যেতে দেখা যায়নি। সব ফেলে জীবন হাতে নিয়ে পালাচ্ছে আফগানরা।
মাওবাদী পোস্টারে লেখা 'হরিবোল', কিষণজির হত্যার বদলা নিতে চেয়ে হুমকি জঙ্গলমহলে
আফগানিস্তানে এখন তালিবান শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মার্কিন বাহিনীর সমর্থন ছাড়া আফগান বাহিনী বিনা যুদ্ধেই পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে। ২০০১ সালে ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর থেকেই তালিবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল মার্কিনরা। তারপর থেকে টানা ২০ বছর ধরে আফগান মাটিতে চলেছে এই যুদ্ধ। তবে তালিবানরা শাসন পুরোপুরি কায়েম করার আগেই চিন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সন্ত্রাস বন্ধ করলে সহযোগিতা করবে বলেও জানিয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়াও তালিবানদের সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পাকিস্তান তো আগে থেকেই তালিবানদের পাশে রয়েছে। এখনও নিজেদের অবস্থান অনড় পাকিস্তান।