আন্টারটিকার থোয়াইটস হিমবাহের মধ্যেই পড়ে পরিচিত ডুমসডে হিমবাহটি। আগামী দিন বিশ্বব্যাপী বড় বিপর্যের কারণ হতে পারে। গুজরাটের মত বড় আকারের এই হিমবাহটি দ্রুত গলে যেতে শুরু করেছে। আর হিমবাহের এই আচরণ সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতাকে অনেরটাই বাড়িয়ে তুলতে পারে।
আন্টারটিকার থোয়াইটস হিমবাহের মধ্যেই পড়ে পরিচিত ডুমসডে হিমবাহটি। আগামী দিন বিশ্বব্যাপী বড় বিপর্যের কারণ হতে পারে। গুজরাটের মত বড় আকারের এই হিমবাহটি দ্রুত গলে যেতে শুরু করেছে। আর হিমবাহের এই আচরণ সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতাকে অনেরটাই বাড়িয়ে তুলতে পারে। আর তেমনটা হলে নিচু এলাকায় বন্যা অবধারিত।
ডুমসডে হিমবাহের এই ভয়ঙ্কর পরিণতি হলে উপকূলীয় এলাকাগুলি জলের তলায় তলিয়ে যেতে পারে। যা একটি বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেবে বিশ্বকে। কারণ সম্প্রতি সামনে এসেছে একটি গবেষণার রিপোর্ট। যেখানে দাবি করা হয়েছে পশ্চিম অ্য়ান্টারটিক হিমবাহ দ্রুত পিছিয়ে যাচ্ছে। আর্থাৎ গলে যাচ্ছে- যা বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
ডুমসডে গ্লেসিয়ার নামে পরিচিত থোয়াইচস হিমবাহ বিশ্বল উষ্ণায়নের কারণে জলবায়ু পরিবর্তন ও ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার কারণে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হয়েছে। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন হিমবাহ আর আশপাশের বরফের এলাকা যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৩-১০ ফুট পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
নেচার জিওসায়েন্স জার্নালে প্রকাশিক গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে থোয়াইটস গ্লেসিয়ারের সাম্প্রতিক ইতিহাস বোঝা ও যেভাবে সেটি পিছিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণ করার প্রক্রিয়াগুলি ভবিষ্যতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে অ্যান্টারটিকা অবদানের প্রজেক্ট করার মূল চাবিকাঠি। বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে প্রতি বছর ২.১ কিলোমিটারের বেশি গতিতে এটি গলে যাচ্ছে ২০১১ সাল ২০১৯ সালের গ্রাউন্ডিং জোনের দ্রুততম পশ্চাদপসরণ স্যাটেলাইট পর্যবেক্ষণেই ধরা পড়েছে। বর্তমানে এটি দ্বিগুণহারে গলে যাচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা হিমবাহের সামনে সমুদ্রতলের একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ম্যাপ করেছে। যা বলে দিচ্ছে এটি কতটা দ্রুত গলে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের কথায় আগে যেখানে শক্ত বরফের চাঙড় ছিল এখন সেখানে বরফের ক্রিস্টাল বল দেখা যাচ্ছে।
বিজ্ঞানীদের কথায় এই হিমবাহের ভাসমান বরফের তাক মহাদেশ থেকে সমুদ্রে বরফের প্রবাহকে ধীর করার একটি বাঁধ হিসেবে কাজ করে। পূর্ববর্তী একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে যদি ভাসমান বরফের তাকটি ভেঙে যায় তাহলে থোয়াইটস হিমবাহের গলন আরও ত্বরান্বিত হবে ও সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে পাবে প্রায় ২৫ শতাংশের মত। বরফের তাক যদি ভেঙে যায় তাহলে শত শত আইসবার্গের সৃষ্টি হতে পারে। কিছুদিন পরেই তা ভেঙে যাবে।