মৃত্যু আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা-প্রধানের, জঙ্গি দলের নেতৃত্বে এরপর কে

নিহত আল-কায়েদা প্রধান আইমান আল জাওয়াহিরি

প্রায় এক মাস আগেই আফগানিস্তানে মৃত্যু

স্বাভাবিক কারণেই মৃত্যু হয়েছে তার

এরপর কে নেতৃত্ব দেবে লাদেনের দলকে

amartya lahiri | Published : Nov 20, 2020 3:01 PM IST / Updated: Nov 21 2020, 08:45 AM IST

নিহত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়েদা'র প্রধান আইমান আল জাওয়াহিরি। আরব নিউজ-এর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে প্রায় এক মাস আগেই আফগানিস্তানের কোনও এক স্থানে মৃত্যু হয়েছে তার। তবে কোনও গোলাগুলি বা রোগভোগে নয়, একেবারে স্বাভাবিকভাবেই বয়সের কারণে মৃত্যু হয়েছে তার। এই সংবাদ সত্যি হলে নিঃসন্দেহে বড় সমস্যার মুখে পড়বে আল-কায়েদা। ১৯৮৮ সালে পাকিস্তানের পেশোয়ারে ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে যৌথভাবে এই জঙ্গিদলের প্রতিষ্ঠা করেছিল এই আল জাওয়াহিরি।

আরব নিউজের প্রতিবেদন অমুসারে মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। জাওয়াহিরির জন্ম হয়েছিল মিশরে। তাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল,  দুই মাস আগে। চলতি বছরে ৯/১১ হামলার বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আসল কায়দা তার একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছিল। ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদে মার্কিন অভিযানে মৃত্যু হয়েছিল লাদেনের। তারপর থেকে দলের ক্ষমতা ছিল জাওয়াহিরি-র হাতেই। তবে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে গবেষণা করেন যাঁরা, তাঁদের মতে বিশ্বজুড়ে ইসলামি চরমপন্থীদের একত্রিত করার কাজে লাদেন যতটা দক্ষ ছিলেন, সেই দক্ষতা ছিল না জাওয়াহিরির।

মাস দেড়েক আগে শেষ দেখা গিয়েছিল তাকে

তবে জাওয়াহিরির মৃত্যুতে যে শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে আল-কায়েদায়, তা সহজে পূরণ করা যাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটির সর্বময় নেতা হিসাবে জাওয়াহিরির জায়গা নিতে পারত যে দুই নেতা, সাম্প্রতিক সময়ে সেই দুই সিনিয়র কমান্ডারেরই মৃত্যু হয়েছে। গত বছর হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, মার্কিন সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানে নিহত হয়েছে ওয়ামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেন। সে ছাড়াও নেতৃত্বের দৌড়ে ছিল আল-কায়েদার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবদুল্লা আহমদ আবদুল্লা ওরফে আবু মুহম্মদ আল-মাসরি। গত সপ্তাহেই প্রকাশিত নিউইয়র্ক টাইমস-এর একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চলতি বছরের অগাস্টে ইরানের তেহরানে দুই ইসরাইলি সেনাকর্মী তাকে গোপনে হত্যা করেছে।

এই অবস্থায় অনেক সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞই মনে করছেন আল-কায়েদার নেতৃত্বর দায়িত্ব পেতে পারে সইফ আল-আদেল। মিশরীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট-কর্নেল সে। গত শতাব্দীর আটের দশকে সেনার কাজ ছেড়ে মিশরীয় জিহাদি আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল সে। সেইসময় গ্রেফতার হয়েছিল আদেল। পরে অবশ্য ছাডা়ও পেয়ে যায়। এরপর সে আফগানিস্তানে চলে এসেছিল, পরে যোগ দিয়েছিল লাদেন-জাওয়াহিরি'র তৈরি আল-কায়েদা জঙ্গি সংগঠনে।

Share this article
click me!