বাংলাদেশে ভারত বিরোধী মনোভাব তুঙ্গে! এই সুযোগে পাকিস্তান 'ঘোলা জলে মাছ' ধরতে শুরু করেছে

শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বাংলাদেশে ভারত বিরোধী মনোভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পাকিস্তান এই পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। এর ফলে দুই দেশের সম্পর্ক, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা চুক্তি, ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

Saborni Mitra | Published : Aug 24, 2024 3:49 PM IST / Updated: Aug 24 2024, 10:54 PM IST

শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে - তারপর কেটে গেছে ১৫ দিনেরও বেশি সময়। কিন্তু এখনও বাংলাদেশে ভারত বিরোধী মনোভাব তুঙ্গে। তেমনই বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। এই অবস্থা হাত গুটিয়ে বসে নেই পাকিস্তান। বাংলাদেশের উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে পাকিস্তান। ক্রমাগত উস্কানি দিয়ে চলেছে।

বাংলাদেশের প্রবীণ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক তথা অধ্যাপক নাজমুল বলেছেন, 'বর্তমানে বাংলাদেশে ভারত বিরোধী মনোভাব বেশি এবং পাকিস্তানপন্থী মনোভাব ক্রমশ বাড়ছে। এটি ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব যা এখন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে পারে।' ভারতের নিউ ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। নাজমূলের আশঙ্কা যদি সত্যি হয় তাহলে বাংলাদেশের ভারতের যে প্রকল্পগুলি চলছিল তাতে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়তে পারে।

Latest Videos

সূত্রের খবর শেখ হাসিনা জুলাই মাসে তিস্তা নদী পুনরুদ্ধার ও ব্যপক ব্যবস্থাপনার প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন। ১ বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। বিশেষজ্ঞদের কথায় এই প্রকল্প হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই আর নেই। এরই মধ্য শুরু হয়েছে পাকিস্তানের উস্কানি।

কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাদ শরিফ বাংলাদেশের বিক্ষোভকারীদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমনের মূর্তি ভাঙার জন্য সাধুবাদ দিয়েছিলেন। মূর্তি ভাঙার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন, 'যা পরিণতি হওযার সেটাই হয়েছে। পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়াতেই তাঁর এই পরিণতি।' মুজিবের মূর্তি ভাঙার নিন্দা এখনও পর্যন্ত আওয়ামি লিগের কয়েকজন নেতা ছাড়া আর কেউ করেনি। পাল্টা আওয়ামি লিগের যুব নেতা বলেছেন, শরিফ যে ভাষায় জাতীয় সংগ্রামকে ব্যাঙ্গ করেছেন তার প্রতিবাদ করা সকলের উচিৎ। কিন্তু বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এখনও কোনও বর্তব্য রাখেনি।

বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দুরা। তাদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার মাত্র ৫ শতাংশ। রিপোর্ট অনুযায়ী তাদের চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। তারা অনেকেই ইতিমধ্যে দেশ ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে চাইছে। শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, স্থানীয় আধিকারিক ও রাজনৈতিক বিরোধীদের আটক করে রাখা হয়েছে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার চোখ বন্ধ করে রয়েছে। বাংলাদেশে কিছু অংশের দখল এখনও মৌলবাদীদের হাতে। যেখানে গানবাজনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

দুঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ! RG Kar কাণ্ডে কার কার নাম বললেন মীনাক্ষী CBI-কে! দেখুন | Minakshi Mukherjee |
'বন্যার জন্য দায়ী মমতা, তিনি বাঁধ সংরক্ষণ না করে টাকা ঝেড়ে দিয়েছেন' বিস্ফোরক Suvendu Adhikari
‘সমস্যা সমাধান না করলে আরও বড় আন্দোলনে যাবো!’ সাবওয়ের দাবিতে তৃণমূলের তীব্র বিক্ষোভ! | Singur News
'বন্যা প্রতিরোধে কী কী কাজ করেছেন ডকুমেন্টস দেখান' মমতাকে তোপ শুভেন্দু অধিকারীর | West Bengal Flood
স্বাস্থ্য দফতরের পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগে সরব Suvendu Adhikari | R G Kar Case