ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বন্ধু সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার কথা বললেও, তাঁদের চিন-নীতি স্পষ্ট করলেন বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী ।
ভারতীয় সীমান্তে চিনের দখলদারি এখন বিশ্ব রাজনীতি এবং কূটনীতিতে এখন এক চরম আশঙ্কার বিষয়। এবিষয়ে কোনও আলোচনা বা হুঁশিয়ারি অনৈতিক দখলদারি আটকাতে পারবে কিনা, সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও নিশ্চয়তা দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে ভারতের আরেক প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের অবস্থান কী? সম্প্রতি সে কথা স্পষ্ট করলেন সেই দেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন (A K Abdul Momen) ।
ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বন্ধু সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার কথা বললেও, তাঁদের চিন-নীতি স্পষ্ট করলেন বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী । সাংবাদিক বৈঠকে তিনি সরাসরি বলেন যে, ভারতের অত টাকা নেই যে বাংলাদেশকে আর্থিক সাহায্য করবে, তাই চিনকে সঙ্গে নিয়ে চলতেই হবে।
৭ জানুয়ারি, রবিবার হয়ে গেছে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের নির্বাচন। ওইদিনই সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগণনা। ৭ তারিখ রাতেই চতুর্থ বারের জন্য বাংলাদেশে জাতীয় সরকার গঠন করেছেন বিগত ৩ বারের বিজয়ী আওয়ামী লিগের প্রধান নেত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার রাজধানী ঢাকায় বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী বা পররাষ্ট্র মন্ত্রী বিদেশনীতি নিয়ে দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেন। চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক উদ্বেগজনক কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ড. মোমেন বলেন, “এটা পুরোপুরি অমূলক আশঙ্কা।" তাঁর কথায়, বাংলাদেশের সঙ্গে সমস্ত দেশেরই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। উন্নয়নের পথে চিন তাঁদের সঙ্গী। চিন বিভিন্ন প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে বাংলাদেশকে সাহায্য করে। অন্য কোনও দেশ টাকা পয়সা নিয়ে আসে না।
আব্দুল মোমেন স্পষ্টতই বলেন যে, পশ্চিমের দেশগুলো এখন বাংলাদেশকে শুধুমাত্র উপদেশই দেয়, অথবা সতর্ক করে। আর ভারতের অত টাকা নেই যে বাংলাদেশকে সাহায্য করবে।