শনিবার বেলা আড়াইটের পর থেকেই শহিদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। ধীরে ধীরে আন্দোলনকারীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। হাজারো মানুষের ভিড় বাড়ছে।
আবারও নতুন করে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। কোটা বিরোধী আন্দোলন এবার রূপ নিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার ফেলে দেওয়ার আন্দোলনে। রাজনীতির বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল এসেছে শহিদ মিনার এলাকায়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রয়েছে দেশে সাধারণ মানুষ। সেখানেই হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে।
শনিবার বেলা আড়াইটের পর থেকেই শহিদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। ধীরে ধীরে আন্দোলনকারীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। হাজারো মানুষের ভিড় বাড়ছে। শহীদ মিনার এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে, জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস, দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত, স্বৈরাচারের গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে, জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো, বুকের ভেতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি ক’, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান, অভ্যুত্থান, পদত্যাগ পদত্যাগ, শেখ হাসিনার পদত্যাগ এমন নানা স্লোগান দিচ্ছে।
সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে গতকাল নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে কোটা সংস্কার বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও পরদিন রবিবার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়।
কোটা সংস্কার বিরোধী আন্দোলনে গত জুলাই মাসেই উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ১০০ জনেরও বেশি মানুষের। যার মধ্যে ছিল অধিকাংশই পড়ুয়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্ফু জারি করা হয়েছিল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ইন্টারনেট। এই অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের কোটা নিয়ে একটি রায় দেয়। তারপরই শান্ত হয় পরিবেশ। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের সংরক্ষণ নিয়ে রায় খারিজ করে দিল। এবার থেকে মেধার ভিত্তিতেই বাংলাদেশে নিয়োগ করা হয়ে ৯৩ শতাংশের। ২০১৮ সালে সংরক্ষণ নিয়ে শেখ হাসিনা সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা৫ জুন অবৈধ ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশের হাইকোর্ট। তারপর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে হাসিনা সরকারই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। রবিবার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে হাসিনা সরকারকে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।