রণক্ষেত্র ঢাকায় দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশ, আন্দোলন থামাতে রীতিমত চাপে শেখ হাসিনা সরকার
কোটা বিরোধী আন্দোলনে রণক্ষেত্র বাংলাদেশ। মৃতের সংখ্যা ১১৫। এই অবস্থায় শনিবার গোটা দেশেই কঠোর কার্ফু জারি করা হয়েছে। দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Saborni Mitra | Published : Jul 20, 2024 1:01 PM IST / Updated: Jul 21 2024, 02:30 PM IST
উত্তাল বাংলাদেশ
কোটি বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ। এখনও পর্যন্ত প্রশাসন ও ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ১১৫।
কার্ফু জারি বাংলাদেশে
আন্দোলন থামাতে শেখ হাসিনা সরকার কার্ফু জারি করেছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় টহল দিচ্ছে সেনা।
দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশ
বাংলাদেশের পুলিশ দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশ দিয়েছে। মোটের ওপ স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের কাছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ।
আওয়ামি লিগের বার্তা
মধ্যরাত থেকেই কার্ফু শুরু হয়। দুপুর ২টোয় তা শিথিল করা হয়। কিন্তু রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত কার্ফু জারি থাকবে। তারপরই সরকার পদক্ষেপ করবে।
এরই মধ্যে গুলির নির্দেশ
এই পরিস্থিতিতে যে কোনও চরম ক্ষেত্রে বিক্ষোভ রুখতে আধিকারিকদের দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জনশূন্য রাজধানীর রাজপথ
এদিন সকাল থেকে ঢাকার রাজধানী ছিল জনশূন্য। সেনা বাহিনীর দখলে ছিল রাজধানী। পায়ে হেঁটে আর সাঁজোয়া বাহিনী টহল দিয়েছে।
আন্দোলনের কারণ
১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে শহিদ ও সেনা সদস্যদের আত্মীয়দের জন্য এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের সরকারি চাকরির ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ রয়েছে। এই কোটার অবসান চেয়েই পথে নেমেছে বাংলাদেশের ছাত্ররা।
রাষ্ট্র সংঘের বার্তা
বাংলাদেশের আন্দোলন নিয়ে মুখ খুলেছে রাষ্ট্র সংঘ। রাষ্ট্র সংঘের মানবাধিকার বিভাগের প্রধান ভলকার টার্ক শুক্রবার বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জানিয়েছেন, ছাত্রদের উপর হামলা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। এই ধরনের হামলাকে ‘বিস্ময়কর’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
বিশৃঙ্খল বাংলাদেশ
স্থানীয় গণমাধ্যম আরও জানিয়েছে যে শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা কারাগারে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পরে রাজধানীর উত্তরে নরসিংদীর একটি কারাগার থেকে প্রায় ৪০০ বন্দি পালিয়ে গেছে।
কোটা নিয়ে আদালতের রায়
২০১৮ সালে, ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভের পর সরকার চাকরির কোটা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু জুন মাসে, বাংলাদেশের হাইকোর্ট সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে এবং ১৯৭১ সালের প্রবীণদের আত্মীয়স্বজনরা পিটিশন দাখিল করার পর কোটা পুনর্বহাল করে।