বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের সংরক্ষণ নিয়ে রায় খারিজ করে দিল। এবার থেকে মেধার ভিত্তিতেই বাংলাদেশে নিয়োগ করা হয়ে ৯৩ শতাংশের।
কোটা বিরোধী তুমুল আন্দোলনের মধ্যেই বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের সংরক্ষণ নিয়ে রায় খারিজ করে দিল। এবার থেকে মেধার ভিত্তিতেই বাংলাদেশে নিয়োগ করা হয়ে ৯৩ শতাংশের। ২০১৮ সালে সংরক্ষণ নিয়ে শেখ হাসিনা সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা৫ জুন অবৈধ ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশের হাইকোর্ট। তারপর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে হাসিনা সরকারই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। রবিবার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে হাসিনা সরকারকে।
২০১৮ সালে হাসিনা সরকরা সংরক্ষণ পুরোপুরি বাতিল করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা অবশ্য মেনে নেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের রায় বাতিল হলেও সংরক্ষণ ব্যবস্থা পুরোপুরি খারিজ করে দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী দেশের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ করা হবে মেধার ভিত্তিতে। পাঁচ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে মুক্তিযোগদ্ধাদের সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের জন্য। বাকি দুই শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে দেশের অন্যান্য শ্রেণির জন্য। পাশাপাশি আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের দ্রুত আদালতে ফিরতে নির্দেশও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আগে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য বাংলাদেশের সমস্ত সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকত। ২০১৮ সালে সেই পুরো সংরক্ষণ ব্যবস্থাই তুলে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাইকোর্ট আবার ৩০ শতাংশ সংরক্ষণই লাগু করেছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এবার থেকে সরকারি চাকরির ক্ষেত্র মাত্র ৫ শতাংশ সংরক্ষিত থাকবে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য।
১৯৭২ সাল থেকেই বাংলাদেশে সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু ছিল। শুরুতে সরকারি চাকরির ৫৬ শতাংশ আসনই সংরক্ষিত রাখা হত । বাকি মাত্র ৪৪ শতাংশ আসনে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হত। ৫৬ শতাংশের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য বরাদ্দ ছিল ৩০ শতাংশ। মহিলাদের জন্য ১০ শতাংশ, বিভিন্ন জেলার জন্য ১০ শতাংশ, জনজাতির জন্য ৫ শতাংশ, আর প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ পদ সংরক্ষিত ছিল।
২০১৮ সাল থেকেই সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল বাংলাদেশে। সেই সময়ই হাসিনা সরকার মুক্তিযোদ্ধার স্বজনদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০ শতাংশ এবং জেলা খাতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বাতিল করে দেন। রাখা হয় শুধু জনজাতিদের ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের ১ শতাংশ সংরক্ষণ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।