ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গত ১৫ বছর ধরে ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি করেছেন সেগুলি বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশানাল পর্টি বা বিএনপি। দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিকে গোপন ও অন্যায় চুক্তি হিসেবেই বর্ননা করেছে বিএনপি। শনিবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপস করে ভারতের সঙ্গে শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত সব গোপন ও অন্যায্য চুক্তি প্রত্যাহার করতে আমি অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি।
সম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন বলেছেন, মহম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের পূর্বতন সরকার যেসব চুক্তি করে গেছে তা এখনই বাতিল করছে না। প্রশাসনিক স্তরে এই মন্তব্যের পরেই পাল্টা তোপ দাগে বিএনপি। দলের পক্ষ থেকে বলা ভারতের সঙ্গে হওয়া সমস্ত চুক্তি বাতিল করতে হবে। হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে, বিএনপি একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান তুলে ধরেছে। ভারত বিরোধী জনমত কাজে লাগেতে মরিয়া চেষ্টা করে যাচ্ছে। খালেদা জিয়ার অত্যন্ত ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত অমির খসরু মহম্মদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত ঠিক কাজ করেনি। ভারতের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের জনগণ ভালভাবে নেয়নি।
বাংলাদেশের প্রবীণ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক তথা অধ্যাপক নাজমুল বলেছেন, 'বর্তমানে বাংলাদেশে ভারত বিরোধী মনোভাব বেশি এবং পাকিস্তানপন্থী মনোভাব ক্রমশ বাড়ছে। এটি ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব যা এখন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে পারে।' ভারতের নিউ ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। নাজমূলের আশঙ্কা যদি সত্যি হয় তাহলে বাংলাদেশের ভারতের যে প্রকল্পগুলি চলছিল তাতে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়তে পারে।
৭৯ বছর বয়সী জিয়া গত পাঁচ বছর ধরে গৃহবন্দী ছিলেন। হাসিনার পদত্যাগের পরে তিনি মুক্ত হন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালতের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পর ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়াকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।