বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মূলত তিনটি কারণে হাঁসফাঁস অবস্থা। মোকার প্রভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে বলেও মনে করছে হাওয়া অফিস।
বাংলাদেশে প্রবল গরম। তাপমাত্রার পারদ চড়ছে হুহু করে। জীবন অতিষ্ট সাধারণ মানুষের। দেশের ৪৩টি জেলাতেই মৃদুমানের তাপপ্রবাহ চলছে। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে বালংদাশের তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি বেড়ে গেছে। কিন্তু এক কারণ কী? বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আগামী আরও দুই দিন তাপমাত্রার পারদ উর্ধ্বগামী থাকবে। আবহাওয়ার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না। তাপপ্রবাহের পরিধি আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর।
বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মূলত তিনটি কারণে হাঁসফাঁস অবস্থা। ১. এপ্রিল ও মে মাস এমনিতেই বাংলাদেশে গরমকাল হিসেবে চিহ্নিত। গত এপ্রিল মাসে স্বাভাবিকের তুলনা অনেক কম বৃষ্টি হয়েছে। গুই মাসের এই বৈশিষ্ঠ্য়ের কারণেই গরম বেশি।
২. বৃষ্টি কমের জন্য গরম বাড়ছে। মে মাসের প্রথম দিকে দেশের বিভিন্ন স্থানের কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টি হলেও গত দুই থেকে তিন দিন বৃষ্টি হয়নি। হলেও তা ছিঁটেফোঁটা। আর সেই কারণেই গরম বাড়ছে বাংলাদেশে।
৩. বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে একটি নিম্নচাপ। আর সেই সারণ সমুদ্রের ঠান্ডা হাওয়া স্থলভাগে প্রবেশ করছে না। উল্টে স্থলভেগের হাওয়া শুষে নিচ্ছে নিন্মচাপ বলয়। সেই কারণে গরম বাড়ছে পাশাপাশি বাড়ছে আর্দ্রতা , যা অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে গরম বাড়লেও এপ্রিল মাসের মত কখনও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডী পার করবে না। এদিন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গাতে। সেখানে পারদ ছুঁয়েছিল ৩৯ ডিগ্রি , ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ . ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
ভারতে নয়, বাংলাদেশ-ময়ানমার উপকূলের দিকেই এই ঘূর্ণিঝড় অগ্রসর হতে পারে বলে পবর্বাভাস দিয়েছেন ভারতের আবহাওয়া দফত। ভারতের আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র সাংবাদিকদের বলেছেন, সোমবারের পরে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাদরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। শেষপর্যন্ত সেটি বাংলাদেশ-মায়ানমার উপকূলের দিকে এগিয়ে যাবে। আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যের পর থেকেই নিম্নচাপ ঘনীঘূত হবে। পরের দিন ঘূর্ণিঝজড তীব্রতর হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি ১১টি পর্যন্ত অগ্রসর হবে। তারপর পুরনায় বাংক নিয়ে উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশ- মায়ানমার উপকূলের দিয়ে চলে যাবে। তিনি বলেন, এর প্রভাবে মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগরে ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ ৫০-৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় দমকা হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ
Mocha Update: মোকা-র গতিবিধি বিস্তারিত জানাল আবহাওয়া দফতর, সতর্ক করা হয়েছে মৎসজীবী আর পর্যটকদের
রাহুলের পর এবার বিজেপির নিশানায় সনিয়া, 'সার্বভৌমত্ব' বিবৃতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে গেরুয়া শিবির
শিক্ষাক্ষেত্রে মুসলিমদের মধ্যে ড্রপআউটের হারে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ, স্কুলছুটের কারণ খুঁজলেন JNUর অধ্যাপক